বিনা খরচে ক্যানসার নির্ণয়ের ব্রত নিয়ে একদল ভারতীয় চিকিৎসক এ মুহূর্তে সাতক্ষীরায় অবস্থান করছে। আজ শনিবার সকাল থেকে দিনভর তাঁরা রোগী দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমিতে খোলা হয়েছে ক্যানসার সচেতনতা ও নির্ণয় শিবির ।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আহ্বানে ক্যানসার নির্ণয়ের এই শিবির বসছে । চিকিৎসা নিতে আগ্রহীরা এরই মধ্যে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন।

২৬ সদস্যের ভারতীয় চিকিৎসকদলটি শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা পৌঁছায়। তাদের সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম। ডা. প্রবীর বিজয় করের নেতৃত্বে দলটি রোগীদের দেহে ক্যানসার আছে কি নেই তা নির্ণয় করবে। 

সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে ভারতীয় চিকিৎসক দলটিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে অধ্যাপক আবু আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল। এ সময় অন্য সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত ক্যানসার রিসার্চ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার বিনা খরচে ক্যানসার নির্ণয়ের এই মহতী উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রাণপুরুষ ডা. গৌতম বসু ১৯৭৮ সাল থেকে এই রিসার্চ সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছেন। মাত্র ২৫ বেডের সেই ক্যানসার সেন্টারে এখন ৬৫টি বেড বসেছে বলে জানালেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডা. টি কে দাস । আয়করমুক্ত এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি সাত সদস্যের কমিটি দ্বারা পরিচালিত। বাংলাদেশের জেলায় জেলায় এবং ভারতের সব প্রদেশেই তারা রোগীদের সেবা দিয়ে থাকে। 

এবারের কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ আগস্ট বেনাপোলে, ২২ আগস্ট সাতক্ষীরায়, ২৩ অগাস্ট খুলনায়, ২৪ অগাস্ট বাগেরহাটে এবং সর্বশেষ ২৬ আগস্ট চিকিৎসক দলটি ঢাকা শহরে শিবির স্থাপন করে চিকিৎসাসেবা দেবে বলে জানা গেছে।

বারাসাত ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডা. গৌতম ঘোষ, ডা. প্রবীর বিজয় কর, ডা. টিকে দাস, ডা. পিকে দাস, ডা. জন ম্যাথো, ডা. হেনা কেরিয়া, ডা. গৌতম মিস্ত্রি, ডা. অমিতাভ রায় চিকিৎসক দলটিতে রয়েছেন। দলটিতে বেশ কয়েকজন নারী সহকর্মী  এবং  টেকনিক্যাল অফিসার মিলন কান্তি দে ও আফজাল আহমেদসহ রয়েছেন অন্যারা।