নিহতের পরিবারের পক্ষে আদালতে মামলা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালিতে খাস জমি পুনর্দখলের সময় নিহত দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
নিহত আশরাফ মীরের স্ত্রী ফজিলা খাতুন আজ রোববার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ আদালতে স্বামী ও ভাই ইসহাক গাজীর হত্যার বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ জমা দেন। পরে শুনানি শেষে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া আগের দুটি মামলার সঙ্গে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৮৬ জনের নাম রয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আজাদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, আশরাফ মীর দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চিংড়িখালি বৈরাগীর চক ভূমিহীন জনপদে সরকারি খাস জমিতে সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২ মার্চ তাঁর পরিবারসহ বহু ভূমিহীনকে উচ্ছেদ করে সন্ত্রাসীরা খাস জমি দখল করে নেয়। নিজ জমিতে ফেরা এবং উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের নিরাপত্তা চেয়ে আশরাফ মীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চেয়ে গত ১৯ অগাস্ট একটি আবেদন করেন। আবেদনপত্রে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সুপারিশ ছিল।
বাদী আরো উল্লেখ করেন, গত ২৪ অগাস্ট আশরাফ মীর তাঁর শ্যালক ইসহাক গাজীসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে চিংড়িখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁদের সুন্দরখালি ও লতাখালি সাঁকো এলাকায় আবুল হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মারধর শুরু করে এবং নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। চিংড়িখালিতে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই আশরাফ মীর ও ইসহাক পাঁড় রক্তক্ষরণে মারা যান।
অভিযোগ রয়েছে, গত ২৪ আগস্ট ভোরে খাসজমি দখলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আশরাফ মীর, তাঁর শ্যালক ইসহাক গাজী ও সহযোগী আবুবকরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় প্রতিপক্ষ। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আশরাফ ও ইসহাক মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। এসব মামলায় ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে ওই এলাকার লোকজন বাড়ি ছেড়ে গেছে।
নিহত আশরাফ মীর ব্যাংক ডাকাতিসহ দুটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৪টি মামলা রয়েছে।