সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে গেল মৈত্রী কার র্যালি

সম্প্রীতির বার্তা ফেরি করে বেড়ানো চার দেশের মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা ‘ফ্রেন্ডশিপ মোটর কার র্যালি’ সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে গেল বাংলাদেশে। গত ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশে আসার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে গাড়িবহরটি।
বেনাপোল চেকপোস্টে মোটর র্যালির সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ন কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম ও পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান। আর ভারতের সীমানায় ঢোকার পর সেখানে দলটিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান, বিএসএফের ডেপুটি কমান্ডার বিরেন্দ্র মিত্র ও কাস্টমসের পরিচালক অন্তনু চক্রবর্তী।
গত ০৪ নভেম্বর ভারতের ওড়িশ্যা প্রদেশ থেকে র্যালির যাত্রা শুরু হয়। এরপর প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে র্যালিটি ঢাকায় পৌঁছে। এরপর বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার ২শ ২৩ কিলোমিটার পথ পরিভ্রমণ শেষে কলকাতায় পৌঁছাবে র্যালিটি। চার দেশের সরকারের সহযোগিতায় র্যালির মূল আয়োজক ভারতের কলিঙ্গ মোটরস।
২০ টি গাড়ীর এই র্যালীতে ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের ১৪ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। প্রতিনিধি দলের সবচেয়ে প্রবীণ সদস্য ভারতের ওড়িশার এমএলএ ও কলিঙ্গ মটরসের মালিক প্রবীণ চন্দ্র ভাজদেও।
র্যালিতে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোধ চন্দ্র মলের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের দলে আছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-পরিচালক মাকসুদুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রেড ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (পোস্ট অ্যান্ড কাস্টমস) সাইদ মো. বখতিয়ার, শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নয়ন কুমার রায়।