দুর্গাপুরে আ. লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় সুমেশ্বরী নদীর বালুমহাল দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার বিরিশিরির মজিবনগর নামক স্থানে ওই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের দুটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ৩টার দিকে বিরিশিরি মজিবনগরের দক্ষিণে কারিতাস অফিসসংলগ্ন ডাইভারশন এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর বালুর চর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের লোকজন বালু তুলতে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদের ছেলে শামীম তাঁর লোকজন নিয়ে বাধা দেন। কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা, ধারালো রামদা, কাতরা নিয়ে বালুমহাল দখল করতে গেলে তাঁদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ভয়ে-আতঙ্কে স্থানীয় লোকজন যে যেভাবে পারে পালিয়ে যায়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে দুর্গাপুর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান, উপপরিদর্শক (এসআই) লাল মাহমুদ, এসআই মাহাবুব, মুশফিকুর রহমান বাবু (২৫), আকরাম হোসেন (৩৫), মো. কামাল হোসেনসহ (২৮) আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের দুটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, ‘দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল হোসেন আকুঞ্জির জায়গায় জেগে ওঠা বালুর চর থেকে আমার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করে আসছিল। হঠাৎ করে সভাপতির ছেলে শামীম তাদের লোকজন নিয়ে আমার লোকজনকে বালু তুলতে বাধা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন আল আজাদ ও তাঁর ছেলে শামীমের মোবাইলে বারবার কল করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দুর্গাপুর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, বালুমহাল দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।