বাসে গণধর্ষণের দুই আসামি রিমান্ডে, একজনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলে বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে। টাঙ্গাইল জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক লুনা ফেরদৌস বাসচালক হাবিবুর রহমান নয়ন ও সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েলের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ছাড়া একই ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালকের সহকারী আবদুল খালেক ভুট্টু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে বিচারক নির্যাতিত পোশাককর্মীর ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান মোস্তফা।
গতকাল শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে চলন্ত বাসে ওই পোশাককর্মী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে তাঁকে ফেলে দিয়ে চলে যায় বাসটি। এ ঘটনায় রাতেই নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন পোশাককর্মীর স্বামী। তার আগে পুলিশ বাসচালক হাবিবুর রহমান নয়ন, সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল ও বাসচালকের সহকারী আব্দুল খালেক ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই পোশাককর্মী টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ পোশাককর্মীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রেহেনা পারভীন। বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিকটিমের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং ডাক্তারি তদন্তে সবকিছু পজিটিভ পাওয়া গেছে।’