নরসিংদীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

নরসিংদীতে ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় ফারজানাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে জেলার শিবপুর উপজেলার বাহেরদিয়া গ্রাম থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি গ্রামের পাঠান আলীর স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানায়, প্রায় তিন বছর আগে বাহেরদিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন পাঠানের ছেলে আলী পাঠানের সঙ্গে একই জেলার মনোহরদী উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ফারজানা আক্তারের বিয়ে হয়। তাঁদের ১১ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। ফারজানা আবার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য ফারজানাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু ফারজানার পরিবার টাকা দিতে না পারায় তাঁর ওপর নির্যাতন করা হয়।
এর মধ্যে স্বামী জাহাঙ্গীর আলম অন্যত্র বিয়ে করেছেন বলে খবর রটে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে ফারজানার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফারজানার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায় জামাই ও তার পরিবারের লোকজন। ফারজানা বার বার কান্নাকাটি করে আমার কাছে টাকা চাইত। আমি গরিব মানুষ যতটুকু পেরেছি তা দিয়ে মেয়েকে সুখী রাখার চেষ্টা করেছি। সর্বশেষ চারদিন আগে দোকান দেওয়ার জন্য মেয়ের জামাই আবার টাকা চায়। সেই টাকা দিতে না পারায় সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।’
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ফারজানার পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পেলে হত্যা মামলা করা হবে। ফারজানার স্বামীকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।