নিজ বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে এক কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কলেজছাত্রীর পরিবার ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। কলেজছাত্রী ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
আজ রোববার সন্ধ্যারাতে পুলিশ উপজেলার শেরপুর গ্রাম থেকে ওই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।
নিহত মুনিরা (১৮) নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি শেরপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের চতুর্থ মেয়ে। তাদের বাড়ি শেরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে হত্যার পর লাশ পুতে রাখা হয়। ঘটনা জানাজানির পর পরই মুনিরার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’
বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। মুনিরার বাবা-মাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বশির উদ্দিন জানান, ‘ময়নাতদন্তের আগে এ ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে। কলেজছাত্রী ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এই সময়ে পরিবার থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করেনি বা প্রতিবেশীদেরও জানায়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। মুনিরার বাবা-মাকে আটক করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
পুলিশ স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে মুনিরার লাশ উদ্ধার করে বলে জানান এএসপি।
স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার থেকে মুনিরা নিখোঁজ ছিল। আজ বিকেলে তাঁর বড় বোন নাদিরা বেগম পাশের বাড়ির আওয়ামী লীগকর্মী খাদিজা বেগমের সঙ্গে আলাপ করতে করতে মুনিরাকে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে দেয়।
খাদিজা আড়ালে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির চাঁন মিয়াকে বিষয়টি জানান। পরে ইউপি সদস্য সন্ধ্যায় শিবপুর থানাকে অবহিত করে। পুলিশ কিছু পরে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মুনিরার লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, লোকজন জেনে গেছে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মুনিরার বাবা-মা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যায়।