চারজন নিহতের ঘটনায় ৩ মামলা, আসামি ১৫০০

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নীলক্ষা চরাঞ্চলে সংঘর্ষে চারজন নিহত এবং পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আজ মঙ্গলবার সকালে দেড় হাজার গ্রামবাসীকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলাগুলো করা হয়। তবে বিকেল পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই মধ্যে গত শনিবার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনদিন ধরে দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ। এতে চারজন নিহতসহ উভয় পক্ষের শতাধিক সমর্থক আহত হয়। অর্ধশতাধিক বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার সকালে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ নির্বাহী হাকিম হুমায়ন কবিরের উপস্থিতিতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অপরদিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র টেটা নিক্ষেপ করে। এ সময় চারজন নিহত হয়। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার উদ্দিনসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ছাড়া আরো অন্তত ২৫ গ্রামবাসী আহত হয়েছে। তারা নরসিংদী ও পাশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) বশির উদ্দিন জানান, পুলিশের উপর হামলা অভিযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে আজ সকালে দেড় হাজর গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে এই তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
এর মধ্যে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে নিলক্ষার আবদুল মতিনকে প্রধান আসামি করে ৮৬ জনের বিরুদ্ধে এবং উপপরিদর্শক ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় সোনাকান্দী গ্রামের তৌকির আহমেদকে প্রধান আসামি করে ১৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অপর একটি মামলায় আরো সহস্রাধিক গ্রামবাসীকে অসামি করা হয়েছে।
এ দিকে আজও নিলক্ষার গ্রামগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা ১১টায় ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিকি নিলক্ষার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন