গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত (গোবিপ্রবি) ১ হাজার ৯১ মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে চত্বরে সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান।

গোবিপ্রবির উপচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গোবিপ্রবির উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। আরো বক্তব্য দেন প্রকৌশল বিভাগের ডিন ডক্টর আব্দুল্লাহ আল আসাদ, ইংরেজি বিভাগের প্রধান জুবায়ের আল মাহমুদ, শিক্ষার্থী ইসমত আরা, ইমন ঘোষ প্রমুখ।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের চরিত্র হরণের মাধ্যমে যে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, সেটা সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য আমরা কিন্তু জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য হাজার হাজার মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়েছে। কিন্তু আবারও যদি আমরা এ পরিস্থিতিতে ফিরে যাই, তাহলে তাদের আত্মহুতি, তাদের রক্তদান বৃথা যাবে। আমি মনে করি ক্লাসরুমে পরমত সহিষ্ণুতা চর্চা, অন্য মতকে সম্মান করা, সেটাই হচ্ছে শিক্ষার একটা বড় কাজ। শিক্ষকরা এগুলো মনোযোগ দিয়ে খেয়াল রাখবেন। যাতে শিক্ষার্থীর মধ্যে এ গুণাবলী সৃষ্টি হয়। গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যেন একটা নিজস্ব চরিত্র তৈরি হয়। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, তারা যেন এক একজন নতুন একটি ব্রান্ড তৈরি করে।  

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪টি বিভাগের ৮০০ মেধাবীর হাতে ২ হাজার করে এবং ২৯১ অসচ্ছল শিক্ষার্থীর হাতে ১৮০০ করে বৃত্তির টাকা তুলে দেন অতিথিরা।