মেনোপজের সমস্যা প্রতিরোধে করণীয়

মেনোপজ বা দীর্ঘমেয়াদে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হট ফ্লাস, অস্থিরতা, বুক ধরফর ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা হয়। এসব সমস্যা প্রতিরোধে করণীয় কী? এই বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৬৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এই ঝুঁকি যেন না হয়, সেজন্য কী করণীয়?
উত্তর : মেনোপোজের এসব লক্ষণগুলোর প্রতিরোধ হলো জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন। ওষুধ তো আছেই, হরমোনও আছে। আমরা তিনটি বিষয় চিন্তা করি। একটি হলো জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন। আরেকটি হলো ওষুধ। আরেকটি হলো হরমোন। হরমোনের প্রতিস্থাপন করি। আর ওষুধ দিয়ে আমরা তাঁর চিকিৎসা করতে পারি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনযাপনের ধরন। যেমন : খাওয়াদাওয়া। পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম খেতে হবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সূর্যের আলো একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আমাদের দেশে অতো সমস্যা হয় না। নারীরা বাইরে রোদে কাজ করেন। কিন্তু যেসব দেশে বেশি ঘরে বসে কাজ করা হয়। এতে সূর্যের আলো তাঁর শরীরে কম আসে। এতে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। এটি হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তাহলে আমরা ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে পারি। ক্যালসিয়াম আমরা দিতে পারি। এটা ছাড়া ব্যায়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু জিনিস আছে আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে। যেমন : ধূমপান আমাদের দেশে মেয়েরা করে না। তবে এরপরও কেউ কেউ করে। মদ্যপান এড়িয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া এর প্রতিরোধে ব্যায়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। এই সময় যে ব্যায়াম করতে হয় সেটিও কিন্তু অনেকে বোঝেন না। আধা ঘণ্টার জন্য সপ্তাহে চারদিন তাঁকে হাঁটতে হবে। যোগব্যায়াম হতে পারে। এখন বলা হয় নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে। যেমন : ওয়েট লিফটিং। যদি ভারী জিনিস নেয় তাহলে তাঁর পেশি, হাড়গুলো শক্ত হবে। এ ছাড়া কিছু হালকা ব্যায়াম রয়েছে। যোগব্যায়াম এখন অনেক বলা হচ্ছে। এই ব্যায়াম তাঁকে নিয়মিত করতে হবে। তবে কোনো ভারী ব্যায়ামে যাওয়ার আগে কিন্তু বুঝে নিতে হবে। না হলে কিন্তু লিগামেন্ট আহত হতে পারে।
আজকাল ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ অনেক উন্নত। তাঁরা যদি সেগুলোতে যান। এমনকি জিমে গেলেও তাঁরা সেগুলো করতে পারবেন।
আবার সাঁতার কিন্তু খুব ভালো ব্যায়াম। সাঁতার করলে হাত পা এগুলো সচল হবে।