কিশোরী বয়সের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা

কিশোরী বয়সে সাধারণত ঋতুস্রাবের সমস্যা, সাদাস্রাব ইত্যাদি প্রচলিত। এসব সমস্যা নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৭৬৭তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কিশোরী বয়সের মেয়েরা সাধারণত কী ধরনের সমস্যা নিয়ে আপনাদের কাছে আসে?
উত্তর : কিশোরী মেয়েরা সাধারণত সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে আসতে চায় না। মাকেও অনেক পড়ে বলে। ঋতুস্রাবের সমস্যা তো সব বয়সেই হতে পারে। তবে এই ছোট মেয়েদের যখন ভারী ঋতুস্রাব হচ্ছে বা ঋতুস্রাবে কোনো সমস্যা হচ্ছে, তখন লুকায়। বলে না। অনেক দিন পরে যখন জটিল অবস্থা হয়, তখন কিন্তু মা নিয়ে আসে। দেখা যায়, অনেক জটিল অবস্থা। এটি ছাড়াও সাদাস্রাব একটি সমস্যা হতে পারে। আর টিউমারের সমস্যা তো আছেই। ইউট্রাসে টিউমার, ওভারিতে টিউমার- এসব সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসতে পারে।
প্রশ্ন : এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে আসলে কীভাবে পরামর্শ দেন?
উত্তর : মা তো খুবই চিন্তিত থাকেন সব সময়। ওভারিতে সিস্ট হলেও খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। তখন আমরা তাকে বোঝাই। এখানে চিকিৎসকের একটি বিশাল ভূমিকা থাকে মায়েদের বোঝানোর ক্ষেত্রে। তাদের বোঝাতে হয় যে বাচ্চাটি ভালো আছে।
অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। কেন? মানসিক কারণে। হয়তো সে খুব চিন্তা করছে, সামনে পরীক্ষা আছে। এরপর আমরা পরীক্ষা করে দেখে নিই হরমোন ঠিক আছে কি না। যদি সব হরমোন ভালো থাকে, তাহলে একটু অপেক্ষা করলেই দেখা যায় নিজে নিজে ঋতুস্রাব হয়ে যায়।
প্রশ্ন : রিপ্রোডাকটিভ বয়সে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : এই সময় আবার ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে। টিউমার হতে পারে। এ ছাড়া গর্ভধারণ সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। যেমন ধরুন, গর্ভপাত হয়ে গেল, এরপর সমস্যা শুরু হলো। এরপর হয়তো প্রসবের পর সমস্যা শুরু হচ্ছে। এগুলো গর্ভধারণ সম্পর্কিত কিছু সমস্যা। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। যেমন টিউমার বা ক্যনসারও হতে পারে। তবে এটি কিন্তু এই বয়সে কম। বেশি বয়সের একজন নারী যখন অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আসে, তখন কিন্তু ক্যানসারের চিন্তাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়।