বন্ধ্যত্বের জন্য কেবল নারী দায়ী?

অনেকে ভাবেন, বন্ধ্যত্বের জন্য কেবল নারীই দায়ী। আসলে বিষয়টি সঠিক নয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮২৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজাউল করিম কাজল। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এক সময় বন্ধ্যত্ব বলতে নারীকে দায়ী করা হতো। আসলে প্রকৃত বিষয়টি কী?
উত্তর : বন্ধ্যত্ব সমস্যাটা বা সন্তান লাভে ব্যর্থতা বা দেরি হওয়া, এই সমস্যাটা স্বামী- স্ত্রী অর্থাৎ নারী -পুরুষ দুজনের যে কারো হতে পারে। সমস্যাটা সমানে সমান হতে পারে। অর্ধেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পুরুষের সমস্যা থাকে, অর্ধেক ক্ষেত্রে দেখা যায় স্ত্রী বা নারীর সমস্যা থাকে। বন্ধ্যত্ব সমস্যা আছে – এটি আমরা কখন বলি? যখন দেখি কোনো দম্পতি পুরো এক বছর সন্তান লাভের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়, তখন আমরা মনে করি তাদের ভেতর হয়তো কোনো একটি সমস্যা রয়েছে। সাধারণত স্ত্রীর বয়স যদি ২৮ বছরের নিচে হয়, তাহলে সময়টাকে আমরা এক বছর বলি। আর যদি কেউ ২৮ বছরের পরেও গর্ভধারণ করতে চায়, তখন কিন্তু সময়টাকে আমরা একটু কমিয়ে নিয়ে আসি। তখন আমরা বলি, ছয় মাস চেষ্টার পর না হলে চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিন।
প্রশ্ন : অনেক সময় সন্তান না হলে বিয়েও ভেঙ্গে যায়, নারীকে দায়ী করে। এর আসলে কোনো যুক্তিকতা নেই। আপনি কি বলেন?
উত্তর : না, নেই। এমনকি দেখা যেত চিকিৎসার জন্য কেবল নারীকেই পাঠানো হচ্ছে। তারই পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাকেই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এটিই চলে আসছে যুগের পর যুগ।
অনেক স্বামী আবার কয়েকবার বিয়ে করেন। প্রথমেই চিন্তা করেন একজন স্ত্রীর ঘরে যেহেতু সন্তান হচ্ছে না। আরেকটা বিয়ে করলে হয়তো সেই সমস্যার সমাধান হবে। হয়তো আরেকটি বিয়ে করলেন। সে ঘরেও সন্তান হয় না। আসলে সমস্যাটি বের করা হয়নি যে পুরুষের ভেতরেই সমস্যাটি রয়েছে।