যেসব কারণে গর্ভপাত হয়

অনেক সময় মা গর্ভধারণ করার পরেও সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হন গর্ভপাতজনিত জটিলতার কারণে। বিভিন্ন কারণে এই গর্ভপাতের সমস্যা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রেজাউল করিম কাজল। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক সময় দেখা যায় মা গর্ভধারণ করছে, তবে তার সন্তানটি জন্মের আগেই মারা যাচ্ছে। এসব সমস্যায় অনেকে ভোগেন। একজন মা গর্ভধারণ করলেন, তবে পেটে সেই সন্তানটি সুস্থভাবে বেড়ে উঠল না বা মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারলেন না। এর কারণ কী?
উত্তর : যেই মায়ের গর্ভে সন্তান আসছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই মা সন্তানের মুখ দেখতে পারছেন না, এই মায়ের মনের কষ্ট আসলে কেউ বোঝে না। যার ব্যথা সেই বোঝে। প্রথম তিন মাস, দ্বিতীয় তিন মাস, তৃতীয় তিন মাস- এই সময় যে বাচ্চাগুলো নষ্ট হয় অথবা পেটে মারা যায়, কিংবা অন্য কোনোভাবে হয়তো পৃথিবীতে আসে না- এগুলো কেন হয়? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা দেখা যায় যে প্রথম তিন মাসে যে বাচ্চাগুলো নষ্ট হয় বা গর্ভপাত হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ভ্রূণটিতে সমস্যা থাকে। আর হয়তো ২০ ভাগ ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে কোনো সমস্যা থাকে।
আবার যদি বলি ১২ সপ্তাহ থেকে ২৮ সপ্তাহ, দ্বিতীয় তিন মাসে যদি কোনো বাচ্চা নষ্ট হয়, তাহলে আমরা বলি ৫০/৫০। অর্থাৎ শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চার সমস্যা থাকতে পারে, অথবা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে মায়ের কোনো কারণে হয়তো বাচ্চাটি নষ্ট হচ্ছে।
আবার শেষের দিকে ২৮ সপ্তাহের পরে যদি পেটে বাচ্চা মারা যায়, কিংবা অকালে গর্ভপাত হয়, তাহলে আমরা মনে করি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যাটা মায়ের শরীরে ছিল। এভাবে আমরা ভাগ করতে পারি।