গর্ভাবস্থায় খাবার যেমন হবে

গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক খাবারের বাইরেও একটু বেশি পরিমাণে খেতে হবে। এটি গর্ভের শিশুর জন্য মঙ্গলজনক। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফাতেমা পারভীন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গর্ভধারণ করেন যে নারী, তাঁরও তো বাড়তি পুষ্টির দরকার হয়। সে ক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর : কৈশোর পাড়ি দিলেই তো তার মা হওয়ার সময়টা চলে এলো। মা হওয়ার শুরু থেকে তার মনে রাখতে হবে যে সে দুজনের খাবার খাবে। তার পেটের ভেতর শিশুটাও খাবে, মাও খাবে। তবে উল্টো আমাদের সমাজে দেখা যায় যে অনেক কুসংস্কারের কারণে অনেক খাবার মাকে দেওয়া হয় না। এটি একটি বিষয়।
আরেকটি বিষয় হলো, এক ধরনের অরুচি এ সময় থাকে। তাই খেতে চায় না। তার রুচিতে যা কুলোবে, সে ধরনের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবার তাকে সময় মেনে দিতে হবে। পরিবর্তিত পদ্ধতিতে তাকে খাবার দিতে হবে।
একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, গর্ভব্তী মাকে সব খাবারের মধ্যে একমুঠো খাবার বেশি খেতে হবে। শাকসবজি যদি বলি, চাল যদি বলি, ডাল যদি বলি, সব ক্ষেত্রে আমরা বলি একমুঠো বেশি খাবেন।
এ সময় অতিরিক্ত খাওয়াটা যেমন নিশ্চিত করা দরকার, আবার দেখতে হবে তার খাবারের পুষ্টিগুলো যেন রান্নার সময় হারিয়ে না যায় বা শরীরের কোনো অসুস্থতার কারণে এটি হারিয়ে না যায়। মায়ের বয়স অনুযায়ী যদি পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার তাকে দেওয়া হয়, তাহলে একটি সুস্থ শিশুও পাবেন এবং সুস্থ মাও পাবেন। সেই বাচ্চাকে নিয়ে নিয়মিত আপনাকে হাসপাতালে দৌড়াতে হবে না। সেই মাকে নিয়েও নিয়মিত হাসপাতালে দৌড়াতে হবে না।