ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে করণীয়

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা একটি জটিল বিষয়। এটি প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের এগিয়ে আশা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯২০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাহিদ সুলতানা। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার সমস্যা নিয়ে আপনাদের কাছে এলে কীভাবে ব্যব্স্থাপনা করেন?
উত্তর : আমি যে হাসপাতালে সেখানে একলামসিয়া ওয়ার্ড নেই। একলামসিক হওয়ার আগে খিঁচুনি হওয়ার একটি আশঙ্কা থাকে। তখন আমরা ঢাকা মেডিকেল বা মিটফোর্ডে ট্রান্সফার করি। তবে প্রি একলামসিয়া যদি হয়, এর জন্য খুবই ভালো চিকিৎসা করি আমরা। রোগীদের আমরা দেখি গর্ভের সময়টা কত। উচ্চ রক্তচাপটা নিয়ন্ত্রণ করি। বাচ্চা পরিপক্ব করে প্রসব করানো জন্য আমরা চেষ্টা করি। প্রধানত এখানে যাতে রক্তচাপটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি সেটি দেখি।
প্রশ্ন : ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতে যেতে না হয় সেটি প্রতিরোধের জন্য আসলে কী করণীয়?
উত্তর : এর জন্য কেবল মা বা পরিবার ব্যবস্থা নেবে সেটি নয়। জাতীয়ভাবে এটি দেখা উচিত। অ্যান্টিনেটাল চেকআপ যদি গর্ভাবস্থায় হয়, অনেক ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থাকে আমরা বের করে আনতে পারি। এর মানে এই চেকআপটা অত্যন্ত জরুরি। শহরে বেশিরভাগ রোগীই ডেন্টাল চেকআপে যাচ্ছে। তবে আমাদের গ্রামাঞ্চলে এটা বাড়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে ভালো প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।