দুই ডোজের মধ্যে সময় বাড়ালে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে : সেরাম ইনস্টিটিউট

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ২৮ দিনেরও বেশি সময় নেওয়া হলে বেশি কার্যকারিতা মিলবে বলে জানিয়েছেন টিকাটির ভারতীয় উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউটের শীর্ষস্থানীয় একজন বিজ্ঞানী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে গতকাল শুক্রবার সেরামের নির্বাহী পরিচালক ড. সুরেশ যাদব বলেন, ‘দুই ডোজের মধ্যকার সময়সীমা কয়েক সপ্তাহ বাড়ানো হলে কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে। এটা যদি চার সপ্তাহ হয়, ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভালো ফল মিলবে। তবে ছয় থেকে আট সপ্তাহ বা ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নেওয়া হলে আরো বেশি কার্যকারিতা মিলবে। তবে দ্বিতীয় ডোজ ২৮ দিনেরও কম সময়ে অর্থাৎ আগেভাগে নিলে ৭০ শতাংশ সুরক্ষা পেতে পারেন টিকাগ্রহীতা।’
ড. সুরেশ যাদব বলেন, ‘টিকার পরীক্ষামূলক তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২৮ দিন সময় নেওয়ার কারণে এটিই এখন মানদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আপনি যদি দীর্ঘদিনের জন্য এবং ভাল মতো সুরক্ষা পেতে চান তাহলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ভাল।’

ভারতে আজ শনিবার থেকে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরু হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে দুটি টিকার জরুরিভিত্তিক অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’, যা তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং অন্যটি ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’।
বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ দেশ হিসেবে ভারতে এ পর্যন্ত এক কোটি পাঁচ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।