ভারতে করোনার টিকা নেওয়ার পর ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ভারতে কোভিড-১৯-এর টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর এখন পর্যন্ত তিন দিনে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছে। টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পর দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই দুজনের মৃত্যুর সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে একটি সরকারি হাসপাতালে ওয়ার্ডবয় হিসেবে কাজ করতেন মহিপাল সিং (৪৬)। গত শনিবার করোনার টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। করোনার টিকাদানের প্রথমদিন শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে টিকা নেন তিনি। জেলার প্রধান মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন, মহিপালের মৃত্যুর সঙ্গে টিকার কোনো সম্পর্ক নেই।

সরকার বলছে, মহিপালের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে জানা গেছে, তিনি কার্ডিওজেনিক শক বা হঠাৎ হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। মহিপাল হৃদরোগজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়ার আগে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
এদিকে দেশটির কর্ণাটকের বেলারিতে ৪৩ বছর বয়সী আরেকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকার জানিয়েছে, ময়নাতদন্তে রিপোর্ট আসার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ভারতে টিকাদানের সবচেয়ে বড় এ কর্মসূচিতে দুই ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছিল। সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনটি ভারতের সব রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ দেশটির ১২টি রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এই টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশজুড়ে তিন হাজার টিকাদান কেন্দ্রে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।