আফগানদের উড়িয়ে সুপার এইটে ভারতের দারুণ শুরু

লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে পাড়ি দিতে হতো ১৮১ রান। চলতি বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে যা বেশ চ্যালেঞ্জিংই ছিল আফগানদের। তার ওপর বুমরাহ-আর্শদিপ সিংয়ের বোলিং বাধা! নাহ, এমন বোলিং বিভাগের সামনে জয় তো দূরে প্রতিরোধও গড়তে পারল না আফগানিস্তান। রশিদ খানদের উড়িয়ে দিয়ে সুপার এইটে দারুণ শুরু করল রোহিত শর্মার দল।
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪৭ রানে হারিয়েছে ভারত। পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২২ জুন সেই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে আরও জ্বালানি পেল রোহিত শর্মার দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান এসেছে সূ্র্যকুমারের ব্যাট থেকে।
জবাব দিতে নেমে ১৩৪ রানেই থেমে যায় আফগানিস্তান। ছন্দে থাকা গুরবাজ শুরুতেই বিদায় নেন। বাকিরাও পারেননি প্রতিরোধ গড়তে।
উইকেটে একে একে সবাই মেতেছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ওমরজাই। ১৯ রান আসে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে। বাকিরা সবাই ব্যর্থ।
বল হাতে মাত্র ৭ রানে জাসপ্রীত বুমরাহর শিকার সর্বোচ্চ তিন উইকেট। ৩২ রানে কুলদিপ যাদব নেন দুই উইকেট। আর্শদিপ সিংয়ের শিকারও তিনটি।
বার্বাডোজে এর আগে ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনিই কাটা পড়েন সবার আগে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফজল হক ফারুকির বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত। ১৩ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।
দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য সেই চাপ দারুণভাবে সামলে নেন রিশাভ পন্থ ও বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লেতে এই জুটির দাপট ছিল দারুণ। পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই এই জুটি ভেঙে আফগান শিবিরে স্বস্তি ফেরান রশিদ খান। উইকেটে চড়াও হওয়া পন্থকে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন রশিদ। ১১ বলে ২০ রান করেন পন্থ। নবম ওভারে কোহলিকেও বিদায় করেন রশিদ। ২৪ বলে ২৪ রান করে ফেরেন কোহলি।
নিজের তৃতীয় ওভারে শিভাম দুবেকেও ফাঁদে ফেলেন রশিদ। দুবেকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেন তিনি। ৯০ রানে চার উইকেটে হারানোর পর উইকেটে ভারতের শেষ আশা সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুজন মিলেই লড়াইয়ে ফেরান ভারতকে। বিশেষ করে চেনা ছন্দে ছিলেন সূর্যকুমার। তার ২৮ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর পান্ডিয়ার দায়িত্বশীলতায় লড়াইয়ের পুঁজি পায় ভারত। ২৪ বলে ৩২ রান করেন পান্ডিয়া।
আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রশিদ খান। ৩৩ রান খরচায় ফারুকির শিকারও তিন উইকেট।