তৃণমূলের পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত, বিনামূল্যে মাছ-ভাত বিজেপির

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জমে উঠেছে ভোটের বাজার। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুরু হয়ে গেছে ভোটারদের মন জোগানোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বাংলা দখলের এই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে যে একচুল ছাড় দেবে না কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি তা পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা। রীতিমতো চোখে চোখ রেখে ময়দানে নেমেছে তারা। এমনকি মমতার কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি এনেও তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত প্রকল্প চালু করেছেন। কিন্তু সেই প্রকল্পের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই এবার বিজেপি শুরু করে দিল বিনে পয়সায় মাছ-ভাত কর্মসূচি। বিজেপির এই ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ অনুষ্ঠান চালু হলো পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়।
সপ্তাহের শুরুর দিন গতকাল সোমবার ভাত, আলু ভাজা, ডাল, মাছের ঝোল আর চাটনির মধ্যাহ্ন ভোজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো এই প্রকল্প। এটি মমতার ডিম-ভাত প্রকল্পকে জনপ্রিয়তার নিরিখে পেছনে ফেলে দেবে বলেও আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপির তরফে পূর্ব মেদিনীপুরে এই প্রকল্পের মূল আয়োজক বিদেশ পাত্র এবং কনিষ্ক পান্ডা। তাঁরা জানান, সকালে চায়ে পে চর্চার পাশাপাশি দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের চর্চাও শুরু হয়ে গেল। এর ফলে বাঙালির বরাবরের যে আড্ডা-সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতি ফিরে আসবে। যেখানে মানুষ মন খুলে গল্প করতে পারবে আর নানা আলোচনাও করতে পারবে। আগে এই ধরনের আড্ডায় রাজনীতি থেকে শুরু করে নানা আলোচনা চলত। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে রাজনীতির কথা বলতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ। আমরা সেই আড্ডা-সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
কনিষ্ক পান্ডা বলেন, ‘দিদি পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত খাওয়াচ্ছেন আর আমরা কোনো পয়সা না নিয়েই সমাজের দুঃস্থ মানুষদের জন্য মাছ ভাত খাওয়াব। কারণ মাছ-ভাতের সঙ্গেই বাঙালির খাদ্য-সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’
যদিও বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চালু করেননি। পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত মেলায় বহু মানুষ খেয়ে বাঁচছেন। কিন্ত বিজেপির পুরোটাই ভোটের জন্য ধোঁকাবাজি।’