ভারতে গণতন্ত্র এখন গভীর সংকটাপন্ন : সোনিয়া গান্ধী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র গভীর সংকটাপন্ন অবস্থায় এসে পড়েছে। দেশে গণতন্ত্র এখন অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে। অর্থনীতির সংকট তো গভীরতর হয়েছেই গণতন্ত্রের প্রতিটি স্তম্ভই পড়েছে বিপদে। প্রতিবাদীদের দমন ও নানাভাবে হেনস্তার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে।
ভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধে এ কথা লিখেছেন ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
সোনিয়া বলেন, মোদির শাসনামলে বিরোধী ও বিক্ষুব্ধদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বা ‘জাতীয়তাবাদবিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সরকারবিরোধী যেকোনো পদক্ষেপকেই ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক’ তকমা লাগিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এই সবই করা হচ্ছে দৈনন্দিন সমস্যাগুলো থেকে মানুষের নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য।

সন্ত্রাসবাদ বা জাতীয়তাবাদবিরোধী সমস্যা যে দেশে নেই তা নয়। কিন্তু সেগুলোর মোকাবিলার জন্য যতটা আপসহীন হওয়া প্রয়োজন তার ছাপ মোদি সরকার ও বিজেপির কাজকর্মে দেখা যাচ্ছে না। বরং এনডিএ সরকার এবং বিজেপি বিরোধী যে কোনো রাজনৈতিক প্রতিবাদকেই চক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবাদীদের মুখ বন্ধ করতে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থাকে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বা তাঁদের সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এভাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে অন্তঃসারশূন্য করে তোলা হচ্ছে।