ভারতে মন্দিরে পানি খেতে যাওয়ায় মুসলিম শিশুকে মারধর, গ্রেপ্তার ২

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদ এলাকায় মন্দিরে পানি খেতে যাওয়ার জন্য এক মুসলিম শিশুকে মারধরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা প্রশাসনের নজরে আসে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি শিশুটির হাত ধরে তার নাম জানতে চান। জবাবে শিশুটি জানায় তার নাম আসিফ। বাবার নাম জানতে চাওয়া হলে সে বলে হাবিব। এরপর ওই ব্যক্তি শিশুটিকে বলেন, ‘মন্দিরে কী করছ?’ শিশুটি উত্তর দেয়, ‘মন্দিরে পানি খেতে এসেছি।’
এরপরই শিশুটিকে মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। প্রথমে মাথায় ও পরে সারা শরীরে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে শিশুটির হাত মুচড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে লাথি ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় অপর এক ব্যক্তি এ ঘটনাটি ভিডিও করতে থাকেন।

শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাড়িতে ফেরার পথে তাঁর ছেলের পিপাসা পাওয়ায় সে পানি খেতে ওই মন্দিরে গিয়েছিল।’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই টুইটারে হ্যাশট্যাগ ‘সরি’ লিখে শিশুটির কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে শুরু করে।
গাজিয়াবাদ পুলিশ বলছে, ভিডিওতে যে ব্যক্তি শিশুটিকে মারধর করছিলেন, তাঁর নাম শ্রিংগী নন্দন যাদব। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ওই মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক হিসবে কাজ করতেন।
গ্রেপ্তার হওয়া আরেকজনের নাম শিবানন্দ। মারধরের ঘটনাটি ভিডিও করার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।