ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি, সিরামকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আইনি নোটিশ

ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি করায় ভারতে করোনাভাইরাসের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। গতকাল বুধবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, ‘(ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি হওয়ায়) অ্যাস্ট্রাজেনেকা আমাদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। ভারত সরকার সেটা জানে। আমি আইনি নোটিশ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না… আমরা আইনি জটিলতা দূর করতে সব ধরনের চেষ্টা করছি।’
আদর পুনাওয়ালা আরও বলেন, ‘চুক্তিতে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা সিরাম ইনস্টিটিউট পূরণ করতে পারেনি। কারণ, ভারতে ভ্যাকসিন সরবরাহে এর অগ্রাধিকার রয়েছে। এটা সবাই কমবেশি বোঝেন। এর সমাধানে কী করা যেতে পারে সরকার তা পর্যালোচনা করছে।’
পুনাওয়ালা এনডিটিভিকে বলেছেন, ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ‘কোভিশিল্ড’ উৎপাদনে সিরাম ‘বেশ চাপে’ রয়েছে। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘বিশ্বের সর্বত্রই ভ্যাকসিন দরকার। আমরা এই মুহূর্তে ভারতের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমাদের এখনো সরবরাহ ঘাটতি রয়ে গেছে… ভারতে সবার ভ্যাকসিন প্রয়োজন।’

এদিকে টিকার উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশে রপ্তানি অব্যাহত রাখতে সিরাম ইনস্টিটিউটের তিন হাজার কোটি রুপির প্রয়োজন। গত মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘আমাদের তিন হাজার কোটি রুপির প্রয়োজন। আমরা এরই মধ্যে কয়েক হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছি যার বিবেচনায় তা কোনো ছোট অঙ্ক নয়। আমাদের সক্ষমতা তৈরির জন্য অন্যান্য উদ্ভাবনী উপায়গুলো খুঁজে বের করতে হবে যাতে আমরা কোভিড বৃদ্ধির আলোকে আমাদের জাতিকে সাহায্য করতে পারি।’
সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, জুন থেকে প্রতি মাসে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ১১০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে তারা।
পুনাওয়ালা জানান, সিরাম ইনস্টিটিউট বর্তমানে প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করছে। ‘আমরা এ পর্যন্ত শুধু ভারতেই ১০০ মিলিয়ন ডোজ এবং অন্য দেশগুলোতে ৬০ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করেছি।’