পর্দা উঠল বটতলা রঙ্গমেলার

সমাজের দিকে দিকে চলছে অবক্ষয়, অথচ সীমাহীন নীরবতায় দেখা মিলছে না স্বপ্নময় সময়ের, এমনটিই মনে করেন অনেকে। আর অস্থির এই সময়ে সাম্য, শান্তি, ভ্রাতৃত্বের আহ্বান আসা ভীষণ জরুরি। এবার শুভবোধের উন্মেষ ঘটানোর প্রত্যয় নিয়ে পর্দা উঠল ‘বটতলা রঙ্গমেলা ২০১৯’-এর। এবারের উৎসবের স্লোগান ‘নৃশংস নৈঃশব্দ্য ভেঙে সুনন্দ সাহস জাগুক প্রাণে প্রাণে’।
চমকে ঠাসা এই আয়োজনের জন্য প্রতীক্ষা ছিল দীর্ঘদিনের। প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে মেলবন্ধন ঘটানোর সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো অবশেষে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব বটতলা রঙ্গমেলা।
জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নাট্যজন আতাউর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনজন তরুণ নাট্যকার সাধনা আহমেদ, রুমা মোদক ও শুভাশিস সিনহা। উপচেপড়া সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ ছাড়াও থিয়েটার অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর উৎসবের বহিরাঙ্গনে শুভাশিস সিনহার ভাবনায় ও মণিপুরি থিয়েটারের পরিবেশনায় প্রদর্শিত হয় নৃত্যনাটক ‘ঢাক করতালে বাজুক জীবন’। এর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মূল মিলনায়তনে প্রদর্শন করা হয় বটতলার পরিবেশনায় নাটক ‘ক্রাচের কর্নেল’। লেখক শাহাদুজ্জামানের বহুল আলোচিত এই উপন্যাসটিকে নাট্যরূপ দিয়েছেন সৌম্য সরকার ও সামিনা লুৎফা নিত্রা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।
আন্তর্জাতিক এই নাট্যোৎসবে প্রতিদিন মূল রঙ্গমঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বাংলাদেশের দুটি ও বিদেশের আটটি দল নাটক পরিবেশন করবে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো—বাংলাদেশ, ভারত, স্পেন, ইরান ও নেপাল।
এবারের উৎসবে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে খ্যাতিমান অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক মামুনুর রশীদকে। এ ছাড়া গত আসরের মতো এবারও আট বিভাগের আট নাট্যজনকে সম্মাননা জানানো হবে। ১১ দিনব্যাপী এই আয়োজনের পর্দা নামবে ২৬ নভেম্বর।