Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

গ্ল্যামার গার্ল তানজিন তিশা

ফুরফুরে মেজাজে ঋতুপর্ণা

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ

মন্টিনিগ্রোতে তাসনিয়া ফারিণ

রঙ বেরঙের ফারিয়া শাহরিন

গল ফোর্টের ইতিহাসে সাদিয়া

তানিয়া বৃষ্টির দিনরাত্রি

সুইমিংপুলে ভাবনা

ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের উল্লাস

উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

ভিডিও
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১৬
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১৬
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৫
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮৪
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮৪
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
আলোকপাত : পর্ব ৭৮২
আলোকপাত : পর্ব ৭৮২
নাটক : পূর্ণতা
নাটক : পূর্ণতা
ধা নাটক : কাজিনস পর্ব ০৬
ধা নাটক : কাজিনস পর্ব ০৬
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৬
গানের বাজার, পর্ব ২৪১
কোরআনুল কারিম : পর্ব ১৯
কোরআনুল কারিম : পর্ব ১৯
ফাহিম ইবনে সারওয়ার
১১:০১, ২৫ জুন ২০১৫
আপডেট: ১২:২৭, ২৫ জুন ২০১৫
ফাহিম ইবনে সারওয়ার
১১:০১, ২৫ জুন ২০১৫
আপডেট: ১২:২৭, ২৫ জুন ২০১৫
আরও খবর
গপ্পো তক্ক যুক্তি: আমার ছবিতে আসল বলতে কিছুই নেই : ক্লদ শ্যাব্রল
গপ্পো তক্ক যুক্তি: আমি কখনোই মেধাবী ছিলাম না : আলেক্সান্ডার পেন
গপ্পো তক্ক যুক্তি: বছরে প্রায় ২০০ ছবি দেখতাম : কুয়েন্তিন তারান্তিনো
গপ্পো তক্ক যুক্তি: গল্পের অবশ্যই ভোগান্তি থাকতে হবে : ডেভিড লিঞ্চ
গপ্পো তক্ক যুক্তি: জানি না কেন এসব ছবি করি : ড্যারেন অ্যারোনফস্কি
গপ্পো তক্ক যুক্তি: সব মিলিয়ে জীবনটা আসলে বিষাদময় : উডি অ্যালেন

গপ্পো তক্ক যুক্তি

তরুণ চরিত্রের সঙ্গেই বেশি সম্পৃক্ত : গাস ভ্যান স্যান্ট

ফাহিম ইবনে সারওয়ার
১১:০১, ২৫ জুন ২০১৫
আপডেট: ১২:২৭, ২৫ জুন ২০১৫
ফাহিম ইবনে সারওয়ার
১১:০১, ২৫ জুন ২০১৫
আপডেট: ১২:২৭, ২৫ জুন ২০১৫
গাস ভ্যান স্যান্ট। ছবি : দ্য টকস

পুরো নাম গাস গ্রিন ভ্যান স্যান্ট, জুনিয়র। জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ জুলাই। একই সঙ্গে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চিত্রশিল্পী, ফটোগ্রাফার, মিউজিশিয়ান এবং লেখক। ‘গুড উইল হান্টিং’ (১৯৯৭) ও ‘মিল্ক’ (২০০৮) ছবি দুটির জন্য অস্কারে দুবার সেরা পরিচালকের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি, ছবি দুটিও সেরা ছবির জন্য মনোনয়ন পেয়েছিল। ‘এলিফ্যান্ট’ (২০০৩) ছবির জন্য কানে পাম দি’ওর জিতেছিলেন গাস ভ্যান স্যান্ট। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে। এর পর ছবি বানাতে এসেও সফল তিনি। তাঁর ছবির বিষয়বস্তুর মধ্যে সমকামিতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সব সময় প্রাধান্য পেয়েছে। সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছে দ্য টকস থেকে।

প্রশ্ন : মিস্টার ভ্যান স্যান্ট, আপনি কি এখনো ছবি (ফটোগ্রাফ) তোলেন?

উত্তর : হ্যাঁ, ভালো কিছু চোখে পড়লে তুলি। 

প্রশ্ন : ‘ভালো কিছু’র সংজ্ঞা কী?

উত্তর : আমি ছবি তুলি মানুষের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য। আমি হয়তো লাইটের মধ্যে ওই দেয়ালটার একটা পোলারয়েড ছবি তুললাম, যেখানে মানুষটার ঠিক ডানপাশে সব সময় জানালাটাকে দেখা যাচ্ছে। আমি একজনের অনেক ছবি তুললাম; কিন্তু এ রকম একটা ছবি আমি নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দেবো তার স্মৃতি হিসেবে। 

প্রশ্ন : ছবি না থাকলে কি আপনি মানুষকে মনে করতে পারেন না?

উত্তর : আমাদের সময়ে তো ডিজিটাল ফটোগ্রাফি জিনিসটা ছিল না। চাইলেই তখন কারো ছবি খুঁজে পাওয়া এত সহজ ছিল না। তাই যখন কোনো ইন্টারেস্টিং মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের ছবি তুলে রাখতাম। এরা শুধু অভিনেতা বা ছবির লোক তা নয়, কিন্তু ফ্লিয়া (মার্কিন সংগীতশিল্পী) বা অ্যান্থনি কিদিসের (মার্কিন সংগীতশিল্পী) মতো বাচ্চাদের ছবিও আমি তুলেছি। আমি যদি ওদের ছবি তুলে না রাখতাম, তাহলে ওদেরকে মনে রাখার জন্য রক ম্যাগাজিন থেকে ছবি কেটে নিয়ে নিজের কাছে রাখতাম। এখন তো সবকিছু খুব সহজ। ছবির দরকার হলে গুগলে গিয়ে সার্চ দিলেই হলো, শয়ে শয়ে ছবি চলে আসবে। কিন্তু আশির দশকে আমি নিজের ক্যামেরায় সবার ছবি তুলে রাখতাম। আমি পোলারয়েড ক্যামেরা ব্যবহার করতাম, যাতে সঙ্গে সঙ্গেই ছবিটা পেয়ে যাই। আমি ছবিগুলো বিভিন্ন দলে ভাগ করে রাখতাম এবং দেখতাম, প্রতিটি দলের ধরন একটা আরেকটার থেকে আলাদা। 

প্রশ্ন : বেশ অনেক বছর আগে আপনি পোর্ট্রেটের একটি বই বের করেছিলেন? আপনার ছবি তোলার ঝোঁক থেকেই কি ওই বইয়ের উৎপত্তি?

উত্তর : হ্যাঁ। আমি তখন মাত্র ৬৬৫ পোলারয়েড ফিল্ম ব্যবহার করা শুরু করেছি। ওটা এই কাজের জন্য খুবই ভালো নেগেটিভ। আমি তখনই নেগেটিভগুলো স্ক্যান করে সব ছবি নিয়ে একটা প্রদর্শনী করার কথা ভেবেছিলাম। আবার স্ক্যান না করেও শুধু ছবিগুলোর প্রদর্শনী করব ভেবেছিলাম। কারণ, ওই সময় তো নেগেটিভ স্ক্যান করার সুযোগ ছিল না। তো, ওই ছবিগুলো নিয়েই একটা প্রদর্শনী করলাম এবং বন্ধুরা সেটা নিয়ে একটা বই বের করে ফেলল, নাম দিল ‘১০৮ পোর্ট্রেটস’। এই হলো বইটার জীবনকাহিনী। 

প্রশ্ন : আপনি তো মানুষের ছবি তোলেন। মানুষ যখন আপনার ছবি তোলে তখন কেমন লাগে? হেদি স্লিমানের (ফরাসি ফটোগ্রাফার এবং ফ্যাশন ডিজাইনার) তোলা আপনার কিছু ছবি দেখেছিলাম। 

উত্তর : হ্যাঁ। ওর ওয়েবসাইটে যেগুলো দিয়েছে, সেগুলো দেখেছেন তো? আমার মনে হয়, ওই ছবিগুলোতে আমাকে খুব বিচ্ছিরি লেগেছে। 

প্রশ্ন : আপনার ওগুলো ভালো লাগেনি? আমার তো মনে হয়েছে, স্লিমানের ছবি তোলার চোখ খুব ভালো। 

উত্তর : ও অবশ্যই খুব ভালো ছবি তোলে। আমার খুব ভালো বন্ধু। সে কারণেই বাসায় বসে এমনিতেই কিছু ছবি তুলেছিল। আমরা তখন পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে কারণেই ছবি তোলায় আপত্তি করিনি। এমনিতেও কেউ আমার ছবি তুলতে চাইলে আমি মানা করি না, তবে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে আমার খুব বিরক্ত লাগে। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি কারো ছবি তোলার অ্যাসাইনমেন্ট বা আর্ট প্রজেক্টের অংশ হয়ে গেলেন, না চাইতেই। এটা ইন্টারভিউ দেওয়ার চেয়েও বিরক্তিকর একটা ব্যাপার। 

প্রশ্ন : তার মানে বলতে চাইছেন যে ছবির জন্য পোজ দেওয়ার চেয়ে ইন্টারভিউ দেওয়াটা অনেক আরামদায়ক?

উত্তর : হ্যাঁ, সেটাই। 

প্রশ্ন : তাহলে আপনার কপাল আজকে খারাপ। কারণ, ইন্টারভিউ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আপনার ছবিও তুলব!

উত্তর : সেটা তো ভালোই। কেউ আমার ছবি তুললে কিন্তু আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু ঝামেলাটা হচ্ছে ছবি তোলার সময় ফটোগ্রাফারদের আবদারগুলো, ‘একটু ডান দিকে, একটু এদিকে তাকান’—এসব খুব বিরক্ত লাগে। এক ছবি তুলতে গিয়ে আপনাকে সাত রকমের লুক দিতে হবে। বিভিন্ন দিকে তাকিয়ে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে হবে। এ ব্যাপারটা মাত্রাতিরিক্ত। 

প্রশ্ন : কোন ফটোগ্রাফারদের ছবি আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?

উত্তর : আমার নিজের এবং আমার সিনেমাটোগ্রাফার এগলেস্টোনের ছবি দ্বারা আমি খুব প্রভাবিত। কাজের সময় আমাদের মনের মধ্যে সব সময়ই ব্যাপারটা থাকে। 

প্রশ্ন : আপনি কি কোনো ছবি বানানোর আগে রেফারেন্স হিসেবে ফটোগ্রাফ ব্যবহার করেন? মানে দৃশ্যগুলো কেমন হবে, সেটার জন্য কোন ফটোগ্রাফিক রেফারেন্স ব্যবহার করেন?

উত্তর : যখন আপনি একটা ছবি বানানোর পরিকল্পনা করছেন, তখন কিন্তু একসঙ্গে অনেক জিনিস আপনি ভাবছেন। ধরেন, আপনি ‘মেট্রোপলিস’ টাইপের কোনো ছবি বানাবেন। তো, ছবিটা আপনার দেখা, মাথায় আছে। নিজের গল্পটাও আপনার মাথায় আছে। আপনি যখন নিজের ছবির শুটিং করছেন, দেখছেন যে জিনিসটা মেট্রোপলিসের ধারেকাছে দিয়ে যাচ্ছে না, সম্পূর্ণ একটা আলাদা জিনিস হচ্ছে। শেষমেশ দেখবেন, যে ছবিটা আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে তার ছিটেফোঁটা চিহ্নও আপনার ছবিতে নেই। এই জিনিসটা খুব ভুতুড়ে। 

প্রশ্ন : আপনার কী মনে হয়? এটা কেন ঘটে?

উত্তর : আপনাকে খুব শক্ত হাতে ছবিটা বানাতে হবে। যে ছবি দেখে নিজের ছবি বানাচ্ছেন, কোনোভাবেই যেন সে লক্ষ্য থেকে দূরে সরে না যান। আমি সব সময় এটা মাথায় রেখে কাজ করেছি। কিছু কিছু বিষয়ে কখনো আপস করা যায় না। অনেক সময় আপনার মনে হবে যে, ‘ওইভাবে করতে গেলে সময় বেশি লাগছে, নিজের মতো করে করি।’ এ ব্যাপারটা কিন্তু অদ্ভুত, কারণ আমরা সব সময় আলাদা কাজ করতে চাই। এ কারণেই আমার মনে হয়, আমার সব কাজ একই রকমের। একটা আরেকটার চেয়ে খুব যে আলাদা, তা নয়। এর কারণ হতে পারে যে, একসময় আমরা বাধ্য হয়ে হাল ছেড়ে দিই এবং চরিত্রগুলোর ওপরই বেশি জোর দিই। 

প্রশ্ন : চরিত্রের প্রসঙ্গ যখন এলোই, আপনার ছবিগুলোতে তরুণদের একটা বড় ভূমিকা থাকে, এটা কেন?

উত্তর : যেকোনোভাবেই হোক, তরুণ চরিত্রগুলোর সঙ্গেই আমি বেশি সম্পৃক্ত। আমার মনে পড়ে, যখন আমি প্রথম দিকে গল্প লেখা শুরু করেছিলাম, সেটা ছিল হাই স্কুলের কিছু ছেলেপেলের গল্প। সময়টা ১৯৭০-এর দশক। তখন কিন্তু তরুণদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি গল্প তেমন একটা ছিল না, শুধু ডিজনির কিছু ছবি ছাড়া। 

প্রশ্ন : আরো কিছু ছবি তো অবশ্যই থাকার কথা।

উত্তর : ছিল হয়তো। ‘অলিভার’-এর মতো সিনেমা। কিন্তু সেটাকে আপনি কোন জনরায় ফেলবেন? তাই আমি যখন আমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে মানুষের কাছে যেতাম, তখন হরহামেশাই শুনতে হতো, ‘এ ধরনের ছবি মানুষ ব্যবসা করার জন্য বানায় না, এক্সপেরিমেন্টের জন্য করে।’

প্রশ্ন : এটা শুধু আপনার গল্পেই নয়, বাস্তবেও মনে হয় আপনি অপেক্ষাকৃত কমবয়সী চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করেন?

উত্তর : সেটা সত্যি। কিন্তু উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি বেন (বেন অ্যাফ্লেক) এবং ম্যাটের (ম্যাট ডেমন) স্ক্রিপ্ট আসলেই ভালো ছিল, দুর্দান্ত। আমার মনে হয়, আমরা তিনজন একসঙ্গে কাজ করায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। যদিও ওদের সঙ্গে জোট বাঁধার আগে আমি বেশ কিছু ছবির কাজ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার পরও আজকাল যখন মানুষের কাছে আমার কথা জিজ্ঞেস করবেন, তারা একটা ছবির কথাই বলবে, ‘গুড উইল হান্টিং’। মনে হয় যেন আমি সারা জীবনে ওই একটা ছবিই বানিয়েছি। 

প্রশ্ন : বেন ও ম্যাটকে আপনি কোথায় পেলেন? কারণ, আপনার সঙ্গে মিলেই তো ওদের প্রথম স্ক্রিপ্ট করা।

উত্তর : ম্যাট ‘টু ডাই ফর’ ছবিটা করতে চেয়েছিল। ওকে তখন থেকে চিনি এবং জানতাম যে ছেলেটার মাথা খুবই ভালো। আমি ওকে নিতেও চেয়েছিলাম অভিনয়ের জন্য। কিন্তু তাহলে কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে আমি যেসব নিয়ম নিজে থেকে মেনে চলি, সেগুলো ভাঙতে হতো। ম্যাট কিন্তু দেখতে তখন বোহেমিয়ান টাইপের ছিল, যেটা আমার ছবির চরিত্রের জন্য দরকার ছিল। কিন্তু আমার আরো পারফেক্ট লুকের একটা ছেলে দরকার ছিল, যাকে দেখলেই গৃহহীন মনে হবে।

জিমি এমেটের ওই চরিত্র শেষ পর্যন্ত করেছিল জোয়াকিন ফিনিক্স এবং ও খুব ভালো করেছিল, যেমনটা চেয়েছিলাম। ম্যাটকে আমি আসলেই নিতে চেয়েছিলাম মন থেকে। কিন্তু আবার মনে হয়েছিল, ম্যাটকে নিলে ছবিটা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তো, ওইখান থেকেই ওকে চেনা, ওই অল্প সময়ের কাজ থেকেই বুঝেছিলাম, ওকে দিয়ে হবে। 

প্রশ্ন : কখন ওরা ‘গুড উইল হান্টিং’-এর স্ক্রিপ্ট নিয়ে আপনার কাছে এসেছিল? 

উত্তর : ওরা স্ক্রিপ্টটা আগেই করে রেখেছিল। কিন্তু কোনোভাবে সেটা আমি মিস করে গেছি, পড়া হয়নি। এর প্রায় দুই-তিন বছর পর মিরাম্যাক্সে কাজ করত আমার এক বন্ধু, ওই আমাকে স্ক্রিপ্টটা পড়তে দিয়েছিল। পড়ার পর আমার মনে হলো, ‘এই স্ক্রিপ্টটার কথা আমি আরো তিন বছর আগে থেকে জানি, অথচ এতদিন পড়া হয়নি। স্ক্রিপ্টটা আসলেই দারুণ।’ তাই আমি তখনো ওদেরকে ডেকে বললাম, ‘স্ক্রিপ্টটা ভালো হয়েছে। তোমাদের যদি কোনো ডিরেক্টর প্রয়োজন হয় তো আমি ছবিটা বানাতে রাজি আছি।’ কিন্তু ওই সময়ে ওরা ওই স্ক্রিপ্টটা নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, জিম শেরিডান ছবিটা পরিচালনা করবেন, তার পর ওরা ঠিক করল যে রেডফোর্ড (রবার্ট রেডফোর্ড) বা মেল গিবসন বানাবেন ছবিটা। কিন্তু কারো সঙ্গেই ওদের মিলছিল না। শেষমেশ আমার কপালে ছিল এবং আমিই সেটা বানালাম। তখন আমি ছাড়া আর কোনো ডিরেক্টর অবশিষ্ট ছিল না ছবিটা বানানোর জন্য। 

প্রশ্ন : স্ক্রিপ্টটা যদি এত ভালো হয়, তাহলে বাকিরা কেন ফিরিয়ে দিয়েছিল?

উত্তর : কারণ, ম্যাট আর বেন দুজনেই ওটাতে অভিনয় করতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা সবাই কাস্টিংয়ে অন্য কাউকে নিতে চেয়েছিল। যেমন : কেউ বলেছে লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং ব্র্যাড পিটকে নিলে ভালো হবে। 

প্রশ্ন : কারণ অভিনেতা হিসেবে তো তখন ওদের দুজনকে কেউ চিনত না। 

উত্তর : দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, ওরা কিন্তু এসব যুক্তি মেনে নিয়ে সরে দাঁড়ায়নি। ওদের সিদ্ধান্তে ওরা অটল ছিল, সেটা স্মার্ট সিদ্ধান্ত ছিল। সে জন্য কিন্তু ওদের যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছে, ধৈর্য ধরতে হয়েছে। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি ওরা, আর সেটাই ওদের বাঁচিয়ে দিয়েছিল। এবং আমি ছিলাম সেই ডিরেক্টর, যে ওদেরকে দিয়েই অভিনয় করাতে চেয়েছিলাম। বাকি যেসব পরিচালকের কাছে ওরা গিয়েছিল, ওরা কিন্তু সবাই দ্বিধান্বিত ছিল, ওদের দুজনকে দিয়ে অভিনয় করানোর ব্যাপারে। 

প্রশ্ন : আপনি কখনো অফ-ব্রডওয়ে নাটক ‘ম্যাট অ্যান্ড বেন’ দেখেছেন? যেখানে ওরা দুজন দুই মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিল। একটা যাচ্ছেতাই কল্পবিজ্ঞান গল্প লেখার সময় গুড উইল হান্টিংয়ের চিত্রনাট্যটাও আকাশ থেকে পড়ছিল, আর ওরা ওই গল্পে শুধু নিজেদের নামটা বসিয়ে দিয়েছিল আর ভাব নিচ্ছিল যে ওটা ওদের লেখা। কল্পবিজ্ঞান গল্পটা পড়েছিলেন কি?

উত্তর : যতদূর মনে পড়ে, আমি পড়েছিলাম সেটা। ওই চিত্রনাট্য থেকে ভালো ছবি হওয়ারই তো কথা। বেশ মজার স্ক্রিপ্ট ছিল। গল্পটা নব্বইয়ের শেষের দিকে লেখা না?

প্রশ্ন : ২০০০ সালের শুরুর দিকে। এখনকার দিনে কেউ যদি আপনাকে স্ক্রিপ্ট পাঠাতে চায়, তাকে কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে?

উত্তর : সেটা নির্ভর করে, আসলে আমি বলতে চাইছি, আমার মেইল অ্যাড্রেস কিন্তু আমার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে রয়েছে। এ রকম আরো অনেকের কাছেই হয়তো আছে। আপনি এটা কেন জিজ্ঞেস করছেন? আপনার কাছে কি কোনো ভালো স্ক্রিপ্ট আছে? 

প্রশ্ন : না। কিছুই নেই।

উত্তর : খুব খারাপ। 

গপ্পো তক্ক যুক্তি

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. বক্স অফিসে ‘সায়ারা’ ঝড়, ৩ দিনে সিনেমাটির কত আয়?
  2. ‘ডন’ পরিচালক আর নেই
  3. ৪৫ কোটি বাজেটের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার বাজিমাত, দুই দিনেই আয় ৬৫ কোটি
  4. টাকা জোগাড় করতে পারেনি পরিবার, চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন এই তেলেগু অভিনেতা
  5. আহত হননি শাহরুখ, ছড়িয়েছে ভুয়া খবর
  6. আট দিনে কত আয় করল রাজকুমারের ‘মালিক’?
সর্বাধিক পঠিত

বক্স অফিসে ‘সায়ারা’ ঝড়, ৩ দিনে সিনেমাটির কত আয়?

‘ডন’ পরিচালক আর নেই

৪৫ কোটি বাজেটের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার বাজিমাত, দুই দিনেই আয় ৬৫ কোটি

টাকা জোগাড় করতে পারেনি পরিবার, চিকিৎসার অভাবে মারা গেলেন এই তেলেগু অভিনেতা

আহত হননি শাহরুখ, ছড়িয়েছে ভুয়া খবর

ভিডিও
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৭৬
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৭৬
নাটক : পূর্ণতা
নাটক : পূর্ণতা
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৮৮
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৮৮
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৫
কোরআনুল কারিম : পর্ব ১৯
কোরআনুল কারিম : পর্ব ১৯
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮৪
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮৪
গানের বাজার, পর্ব ২৪১
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ২৯

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x