ফিরে আসুন কবি বেলাল চৌধুরী

এই তো গেল সপ্তাহে বৈশাখের প্রথম বাতাস এলো, ঝড় বইল দেশজুড়ে, মঙ্গল বৃষ্টিতে স্নাত হলো ধরাতল। আর সেই প্রভাতে মঙ্গল শোভাযাত্রায় জেগে উঠলাম আমরা। সেদিন জানতে পারিনি কবি আপনি এতটা অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সেটা জানতাম। কিন্তু ২০ এপ্রিল(২০১৮) যখন লাইফ সাপোর্টে আপনাকে নেওয়া হলো তখন আমাদের চিন্তায় অশনি সংকেত দেখা দিল। ভাবছি, ছাত্র জীবন থেকে যে কবিকে আমরা দেখে এসেছি ভবঘুরে, সজীব আর তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে, যিনি ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকার সম্পাদনায় আমাদের চেতনাকে নাড়া দিয়েছেন, কবিতা পরিষদের উৎসবে সম্মানিত থেকেছেন, তিনি আজ রুগ্ন। ৮০ বছর( জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৩৮) বয়সে চলে যাওয়ার সময় হয়েছে বলে আমি মনে করি না কবি। তাই কবিতার গুণগ্রাহী আমরা আপনার সুস্থতা কামনা করছি। তবে এই কবিতায় আপনি যথার্থই লিখেছেন নিজের কথা-
‘আমার গোপন পাপগুলি এত দিন পর
বিরূপ-বৈরিতায় শস্ত্রপাণি হয়ে উঠেছে
এবার তাদের বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে
উচ্চারিত হলো- আমার কঠোর দাজ্ঞা
আমার মাথার ওপর উত্তোলিত তীক্ষ্ণ কৃপাণ
চোখের সামনে জ্বলন্ত লাল লৌহশলাকা
ওদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এবার ওরা অটল
আমার সর্বাঙ্গ ছেঁকে ধরেছে মাছির মতো
বিস্ফোটক দগদগে ঘা পুঁজ আর শটিত গরল
গোপন পাপের শরশয্যায় শুয়ে আমি
নিদারুণ তৃষ্ণায় ছটফট করছি- হায় রে জলধারা
কিন্তু এবার ওরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ- নিষ্কৃতি নেই আমার
নির্বাসনে মৃত্যুদ ঠান্ডা চোখে দেখছি আমি
নীল কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে আমার দেহ।’(প্রতিনায়কের স্বগতোক্তি)
২.
বেলাল চৌধুরী আপনি কবি- এটাই আপনার বড় পরিচয়। কারণ আপনি তো সেই কবি যিনি এই সমাজে নিজের ঔজ্জ্বল্যকে অনুভব করতে সক্ষম হয়েছেন, অনুপ্রাণিত আছেন সবসময়। অবশ্য তার বাইরে আপনি প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক। পত্রিকা সম্পাদনায় আপনার দক্ষতার তুলনা নেই। কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘কৃত্তিবাস’ সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গেও আপনার গভীর হৃদ্যতার কথা আমরা জানি। কলকাতায় থাকার সময় আপনি অন্তরঙ্গ ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, তুষার রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও কমলকুমার মজুমদারের সঙ্গে। সেখানে শ্মশানে ঘর ভাড়া করে কাটিয়েছেন। একদিন মাছ ধরার ট্রলারে চড়ে অজানায় পাড়ি দিয়েছেন। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার আপনার বিপুল। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার(১৯৮৪) ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক পেয়েছেন আপনি। আপনার গ্রন্থের নামগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে সবসময়। আপনার প্রকাশিত গ্রন্থ হলো- কবিতা : নিষাদ প্রদেশে (১৯৬৪), বেলাল চৌধুরীর কবিতা (১৯৬৮), আত্মপ্রতিকৃতি(১৯৭৫), স্থিরজীবন ও নিসর্গ (১৯৭৫), স্বপ্নবন্দী (১৯৮৪), সেলাই করা ছায়া (১৯৮৫), কবিতার কমলবনে (১৯৯২), বত্রিশ নম্বর (১৯৯৭), ভালোবাসার কবিতা (১৯৯৭), যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে (১৯৯৮), যে ধ্বনি চৈত্র, শিমুলে (২০০৮) সেলাই করা ছায়া (২০০৯)। প্রবন্ধ-গবেষণা : কাগজে-কলমে (১৯৯৭), স্ফূলিঙ্গ থেকে দাবানল (২০০১)। ভ্রমণ কাহিনী : সূর্যকরোজ্জ্বল বনভূমি (১৯৬৪)। শিশুসাহিত্য : সবুজ ভাষার ছড়া (১৯৮১), বত্রিশ দাঁত (১৯৮১), সাড়ে বত্রিশ ভাজা। সম্পাদনা : বিশ্বনাগরিক গ্যেটে, জলের ভেতরে চাঁদ ও অন্যান্য গল্প, লঙ্গরখানা, পদাবলী কবিতা সংকলন। অনুবাদ : মৃত্যুর কড়ানাড়া (১৯৭১), ত্রান্তোরা (নাটক) প্রভৃতি আপনার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। আমরা জানি, আপনার প্রিয় কবি মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ এবং আরো অনেকে। আপনি আমাদের জানিয়েছেন, শুধু সস্তা জনপ্রিয়তা ও ভঙ্গি-সর্বস্বতাই কাব্যের কোনো প্রধান শক্তি হতে পারে না। বরং কাব্য রচনায় যুগপৎ আমাদের প্রতিভা, মনন ও শ্রমের বিকাশ না ঘটাতে পারলে- সমাজের মানুষের কল্যাণে হৃদয়ের ভাষার সঙ্গে কবিদের হৃদয়ের ভাষাকে সংহত করতে না পারলে, মহিমা ও মুক্তির পথ ফুটিয়ে তুলতে না পারলে কেবল আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব আর ভাষার চাতুর্যের দ্বারা জাতির সঙ্গে কবির মিলন অসম্ভব। এ জন্য আমাদের সব ধরনের কবির মধ্যে সত্যসম্বন্ধ গড়ে তুলতে হবে। যেহেতু সৌন্দর্য ও সত্যকে অবলম্বন করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে কবিতার শ্রেষ্ঠত্ব।
আপনার ‘বত্রিশ নম্বর’(১৯৯৭) গ্রন্থটি আমার প্রিয়। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নম্বর যদিও বত্রিশ সড়কের ৬৭৭ নম্বর তবু জনগণের কাছে বত্রিশ নম্বরই জাতির পিতার গৃহ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এবং বর্তমানে স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে খ্যাত সেটি। বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস খুঁজতে হলে যেতে হবে ধানমণ্ডির বত্রিশ নম্বর। বাংলাদেশ ও বাঙালির গৌরবগাঁথা দেখতে হলে যেতে হবে বত্রিশ নম্বর। বাঙালি ও বাংলাদেশের স্থাপত্য ইতিহাস জানতে হলে পাতা উল্টে দেখতে হবে বত্রিশ নম্বরের। বাংলাদেশ ও বাঙালির মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারীদের কলঙ্কচিহ্ন দেখতেও যেতে হবে সেই বত্রিশ নম্বর। বত্রিশ নম্বর- বাড়িটির প্রতিটি ইটে গাঁথা রয়েছে বাঙালি জাতির গৌরব গাঁথা, শৌর্যের কথা। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ও অর্জনের কথা। বিশ্বমানচিত্রে একটি নতুন দেশের রক্তসিন্ধু অভ্যুদয়ের কথা। বত্রিশ নম্বরই স্বাধীনতার পবিত্র সনদ আর অঙ্গীকারনামা। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সাফল্য আর ব্যক্তিগত হৃদয়ের মাহাত্ম্য নিয়ে নিটোল আবেগ আর যুক্তিনির্ভরতার মিশেলে একেবারে তরতাজা কবিতাসমূহ ঠাঁই নিয়েছে আপনার ‘বত্রিশ নম্বর’ কাব্যে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতায় আপনি গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলেছেন। অধিকার সচেতন মানুষের ঘুম ভাঙানি গান শুনিয়েছেন। মুক্তছন্দের আধুনিক গদ্যময়তায় অনন্য আপনার কবিতাসমূহ। ‘মুক্তির মাস, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর’ কবিতায় বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের শাশ্বত পটভূমিতে মুজিবকে স্থাপন করেছেন। লিখেছেন- ‘কোথায় হে রায়রায়ান জীবনানন্দ শেখ মুজিব/সাড়ে সাতকোটি কোকিলের কলরবে মুখরিত বাংলার নিসর্গ।’ আপনার মতে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন দুর্গম পথের অভিযাত্রী। শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘদেহী মানুষ। দিশাহারা মানুষের বাতিস্তম্ভ। পতাকায় তিনি আছেন, বাঙালির হৃৎপিণ্ডেও। বাঙালির প্রতিটি নিঃশ্বাসে ফোটে একটি অবিনশ্বর রক্তকমল। তিনি অবিনশ্বর, চিরঞ্জীব। তিনি আমাদের পুণ্যশ্লোক পিতৃপুরুষ। জাতির পিতা মৃত্যুহীন প্রতীক হয়ে উঠেছেন আপনার ‘পিতৃপুরুষ’ কবিতাটিতেও। স্বাধীন মাতৃভূমিতে ঘাতকের গুলিতে মৃত্যুবরণ করা বঙ্গবন্ধুর অবদানকে স্মরণ করেছেন এ কবিতার ভাষ্যে। কবিতায় এই মহামানবের মৃত্যু এবং রক্ত ফুল হয়ে ফুটেছে। কারণ বাঙালি ও বাংলাদেশের একীভূত রূপ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। মৃত্তিকার বুকে তাঁর নিবিড় আলিঙ্গন।
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে বেলাল চৌধুরী আপনি বাংলাদেশকে নিবিড় করে নিয়েছেন। কিন্তু আপনি সাংবাদিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে দেখেছেন বিশ্বব্যাপী চালচিত্র পাল্টে গেছে। এই বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে কবিদের দায় কী হবে? এজন্য ‘কবি ও কবিতার বিষয়-আশয়’ প্রবন্ধে আপনি লিখেছেন- ‘এখন আমরা এমন একটা সময় অতিবাহিত করছি, যেখানে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস, ধর্মীয় উন্মাদনা, রণহুঙ্কার। টেকা দায় হয়ে উঠলেও মনে রাখতে হবে, এ রকম বহু কঠিন সমস্যার ভেতর দিয়ে নির্ভেজাল কবিতাচর্চার যে অনাবিল সৌন্দর্য তার বিষমভাবে বাধাগ্রস্ত ও বিপত্তির সম্মুখীন হলেও তাকে অতিক্রম করে যাওয়াটাই প্রকৃত কবিতার বৈশিষ্ট্য। কেননা, কবিতা আমাদের মাতৃভাষার মতোই ঐশ্বর্যশালিনী। মানুষের সুন্দর ও মহৎ মনের কাছে কবিতার আবেদন চির শাশ্বত; যা কখনো ফুরানোর নয়। ফুরায় না। কবিতা নিজেই এমন একটা বিস্ময়, যা বিজ্ঞানের মতোই সুস্থির ও চিরন্তন।’ আপনি বিশ্বাস করেন ঢাকা শহরই কবিদের একমাত্র স্ফুরণের স্থান নয়। দেশের বৃহত্তর নাগরিকসমাজ ও লোককবিদের একত্রীকরণ প্রয়োজন। তাহলেই কবিরা কবিদের পথ তো বটেই; মনোবলও চাঙ্গা করে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে পারবেন। জাতীয় কবিতা পরিষদ শুধু সাংবৎসরিক উৎসব উদ্যাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং ভবিষ্যতের বাংলা কবিতার চলার পথকে সুগম করে তুলবে। বেলাল চৌধুরী আপনি কবিতায় এনেছেন স্বদেশের কথা, মানুষের যাপিত জীবন, প্রেম আর প্রকৃতির অনাবিল উচ্ছ্বাস। ঐতিহ্য অন্বেষণ করেছেন নিরন্তর। লিখেছেন-‘একটি পতাকা হতে পারে কত আনন্দের/ স্বাধীনতা শব্দটি কত অনাবিল/ মুক্ত হাওয়ার পত পত স্বাধীন পতাকা/ সার্বভৌম, সুন্দর দেশজ চেতনার রঙে রাঙা/যারা জেনে যেতে পারেনি সে সব সুবর্ণ দিনের কথা/ আজ তাদের প্রাণের অধিক প্রিয় স্বাধীন মুক্ত দেশে/ তারাই কি মৃত্যুঞ্জয়ী বীর নয়/ যারা পাঞ্জা ধরেছিল মৃত্যুর সঙ্গে/ এক ফোঁটা অশ্রুতে সেদিন ঝরেছিল মুক্তো/ নিটোল, নিখাদ, রাশি, রাশি...’ (মর্মে মর্মে স্বাধীনতা) স্মৃতি, স্বপ্ন মিলে মিশে আছে আপনার কবিতায়। ‘নীল’ শব্দটি এখানে ব্যঞ্জনাদীপ্ত- ‘চোখের সামনে আজও কেমন স্পষ্ট অমলিন/ বাল্যকালের গন্ধমাখা আমার নীল জামাটি,/ দুরন্তপনার হাজার চিহ্ন আঁকা নীল পতাকা/ রোদে পোড়া ঘামে ভেজা হাওয়ায় ওড়া—/ যেন অস্থির এক প্রজাপতির রঙিন প্রগলভতা/ নীল পাহাড়ের নিরুদ্দেশে মেঘের রেশম স্বাধীনতা...’ (বাল্যকালের গন্ধমাখা নীল জামাটি)। এ ছাড়া আপনার কবিতায় নাগরিক জীবনের বাস্তবতা আছে। আছে স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের কথাও।
৩.
আপনার মতে, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সর্বাধিক প্রয়োজন, আমাদের অগ্রজপ্রতিম পূর্বসূরিদের যথার্থ মূল্যায়ন। একই সঙ্গে তরুণ ও প্রতিশ্রুতিবান কবিদের প্রতিভার প্রতি যথাযোগ্য আগ্রহের প্রকাশ।’ এজন্য আমরা প্রস্তুত আছি কবি। আমরা জানি, শুধু শব্দ কখনো কবিতা হয় না। একটা চিন্তাকে সুন্দর শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে কবিতা তৈরি করা হয়। তবে শব্দের ভূমিকা সবসময়ই প্রধান। আপনার মতে, একটা সুন্দর ও সার্থক কবিতার জন্য থিম খুবই দরকারি। কবি বা কবিতার কাছে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্রের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সেটা দেওয়ার জন্য মৌলিক চিন্তা অবশ্যই দরকার। তা ছাড়া কবিতাকে যতই মানুষের মুখের ভাষায পরিণত করা যাবে ততই মঙ্গল। মানুষের বুঝতে সহজ হবে। এজন্যই লিখেছেন, ‘শব্দের জলে আমি অধ্যয়নশীল সন্তরণ করেছি/ জুজুবুড়িকে মেরেছি জলের ওপর। আমি মৃত্যুকে কামড়িয়েছি তীক্ষ / খুব আলতোভাবে আমাকে তোলা হলো জল থেকে মসৃণ জালে/ কিছু ভেজা হাত আমাকে ধরলো, ছাড়লো জলের বন্ধন থেকে/ ছুঁড়ে দিল অন্ধকার খালুইর ভেতর-যেখানে আমি/ পড়ে রইলাম জলের বাহিরে...’(খাদ্য ও খাদক, জল বিষুবের পূর্ণিমা)
কবিতার বারবার বাঁক বদল সম্পর্কে আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- ‘কবিতা কোনো আদর্শকে সামনে ধরে বদলায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন্তার অনেক বদল হয়। সেই চিন্তা থেকে কবিরাও বদলায়। কবিতার ভাষা কাউকে সামনে রেখে, তাকে অনুকরণ, অনুসরণ করে বদলায় না। এটা আসে কবির ভেতর থেকে। পরিবর্তিত ভাষাটা কবি তার নিজের ভেতর থেকেই অর্জন করেন। সেটা তার দেখা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে হয়।’ আপনি বলেছেন, একজন ক্লান্তদর্শী কবি গাঁয় গাঁয় জন্মায় না। যেকোনো দেশ-কালের পরিপ্রেক্ষিতে এক শতাব্দকালে হয়তো একজনই জন্মান, যিনি একই সঙ্গে হৃদয় প্রক্ষালক, সর্বজ্ঞ, বিদ্বান ও সর্বদ্রষ্টা। সাম্য, মৈত্রী এবং জাতি ও ভাষাগত বৈষম্য, সাম্প্রদায়িক বিভেদের ক্ষেত্রে কবিরা চিরকালই আপসহীন। কণ্ঠে তাঁদের মানবতার জয়গান অনস্বীকার্যভাবে থাকবে। বেলাল চৌধুরী আপনি ঠিক তাই, যা বলেছেন আপনি নিজেই। আপনার কণ্ঠে মানবতার জয়গান সমৃদ্ধ হয়ে আছে। ভবিষ্যতে আরো কিছু পাবার আশায় আমরা আপনার সুস্থতা কামনা করছি।