আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, সাক্ষ্যগ্রহণ ৩১ মার্চ

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৩১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াত এ দিন নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ আদালতে কোনো সাক্ষী না আসায় বিচারক নতুন দিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর দিহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি মাস্টারমাইন্ড স্কুলের দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। আসামি দিহানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসামির মা বাসায় না থাকায় সুযোগ পেয়ে ভুক্তভোগীকে কলাবাগানের ওই ফাঁকা বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। এরপর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ওই শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে এ বছর ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেয় বন্ধুরা। তারপর ফোন করে ছাত্রীর মাকে জানানো হয়, সে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছে। এরপর ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর ধারণা, মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দিহানকে একমাত্র আসামি করা হয়। পরে আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। দিহান এখন কারাগারে রয়েছে।