আমার মা বঙ্গবন্ধুর জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন : মোস্তাফা জব্বার
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/03/21/m-zabbar.jpg)
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘আমার মা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন। তাঁর সন্তান ফিরে আসবে না জেনেও মা আমাকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।’
মন্ত্রী আজ সোমবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মু. ইসমাইল হোসেন বক্তব্য দেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বই আছে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন তাঁর লেখক সত্ত্বার অনন্য পরিচয়ে ভাস্বর। গ্রন্থ তিনটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনায় দেখা যায় তাঁর সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও আত্মত্যাগের মহিমা বর্তমান প্রজন্মের জন্যও অনুসরণীয়।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর জন্য বাংলাদেশের এমন কোনো মা ছিলেন না যারা দোয়া করেননি বা রোজা রাখেননি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই পৃথিবীর অনেক মহামানবের জীবনী অধ্যয়ন করবে। যে মানুষটি তোমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গেছেন, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছেন তাঁকে পাঠ করতে কখনও ভুলবে না।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রচলিত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর দরকার। আইওটি, রোবটিক্স, এআই, ব্লকচেইন পড়ানো দরকার। ডিজিটাল প্রযুক্তি যাতে তারা উদ্ভাবন করতে পারে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। মেধাস্বত্ত্ব দিয়ে আবিস্কারকে রক্ষা করা জরুরি।’
মন্ত্রী গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘পৃথিবীতে ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণা ঘোষণা করার আট বছর আগে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের বহুদেশ এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে এবং যান্ত্রিক সভ্যতা থেকে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করেছে।’