স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, কমবয়সী শিক্ষার্থীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আগামীকাল রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। টিকাসহ অন্যান্য কার্যক্রম ও পরিকল্পনা নিয়েও ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত কম্প্রেহেনসিভ (লাইসেন্সিং/প্রি-রেজিস্ট্রেশন) পরীক্ষায় তেজগাঁওয়ের একটি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্যমস্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যে নির্দেশনা আছে... যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১২ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তাদের ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম এ বয়সের মধ্যে করতে হলে, ওই সিস্টেমটাকে ফলো করতে হবে।’

স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হলে নতুন করে ঝুঁকি তৈরি হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এককভাবে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না। আগামীকাল (রোববার) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য কীভাবে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে স্কুল-কলেজ খোলা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

করোনার সংক্রমণ রোধে টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সারা দেশে আবারও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি চালু করার কথাও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।