করোনা মোকাবিলা করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী
করোনা মোকাবিলায় সাংগঠনিকভাবে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় বিপদে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ায় উল্লেখ করে এ সময় প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মোকাবিলা করেই দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।’
‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয়’ বিষয়ে নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার নেতাদের সঙ্গে আজ রোববার এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘নওগাঁ সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় করোনার প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ জারি করলেও জনসাধারণ সঠিকভাবে তা মানছে না। অনেকেই মাস্ক পরছেন না। ফলে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে।’
আম চাষিদের প্রতি সহানুভূতির কারণে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আম ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিন উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। আছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাও। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে পরীক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনীয় চিকৎসা নিতে হবে। কোনো ধরনের অবহেলা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।’
অনুষ্ঠানে পোরশা, নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
নওগাঁ-১ আসনের পোরশায় ৭১টি, নিয়ামতপুরে ৭৫টি ও সাপাহারে ৬০টি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।