কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পায়নি পুলিশ।
ডিএমপির নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোছা. পারভীন আখতার সোমবার আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার ওমেদার মোহাম্মদ সরোয়ার বলেন, আদালতে এ মামলায় চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। সিএমএম আদালতের মাধ্যমে মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরে আবার আদালতে জামিনের স্থায়ী আবেদন করলে গত বছরের ১৪ অক্টোবর জামিন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির অভিযোগে সবুজবাগ থানায় এক নারী চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানি নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস সেই দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী চিত্তরঞ্জন দাসকে ফোন করেন। তখন চিত্তরঞ্জন তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে যান।
সেখানে চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। পরে চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন এবং ওই নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করা হয়।