খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন : রাষ্ট্রপতি
খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ সোমবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আমি ভোক্তাসাধারণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘মুজিববর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’—যা অত্যন্ত সময়োপযোগী।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সর্বজনীন। পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি এর যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন জরুরি। পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তাই, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করতে হবে। বর্তমান করোনা মহামারিতেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, ভোক্তা সাধারণের অধিকার রক্ষায় বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরো নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।’
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।