খুকৃবিতে উপাচার্যের আত্মীয়-পরিবারের ৯ সদস্যের নিয়োগ বাতিলের আদেশ

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) উপাচার্যের আত্মীয় ও পরিবারের ৯ সদস্যের প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তের পর প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুর রহমান খান অনিয়ম-স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ মতে, সব মিলিয়ে উপাচার্যের পরিবারের সদস্য-আত্মীয়দের মধ্যে ৯ জনকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। উপাচার্য তার স্ত্রীকেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অনিয়মের এই অভিযোগ ইউজিসির তদন্তে প্রমাণিত হয়।
ইউজিসির সুপারিশের পর গত ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্যকে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেয়।
উপাচার্যকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা দেওয়া হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়—
(ক) তদন্ত কমিটির কাছে উপাচার্য নিজেই স্বীকার করায় তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় ৯ জনের নিয়োগ বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(খ) বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া একই ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে সিলেকশন বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(গ) সরাসরি প্রফেসর পদে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের স্ত্রী আবেদন করেন, সেটি বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুসরণ করে যুগোপযোগী করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
(ঙ) ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ এবং বিষয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া সিলেকশন বোর্ড গঠন না করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।
(চ) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশসমূহ ভবিষ্যতে অনুসরণ করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন বা বাস্তবায়ন শেষে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।