গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দুলাল শেখ (৪৮) হত্যা মামলার রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জেলার মুকসুদপুর উপজেলার শ্রীজিৎপুর গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. আল-আমিন মোল্লা, একই উপজেলার গোহালা গ্রামের মো. মেহেদী হাসান শেখ, সুমন সাহা, মো. কাওছার ফকির ও একই উপজেলার ভট্টাচার্য্য কান্দি গ্রামের ফক্কার শেখ (ফারুক শেখ)। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মুকসুদপুর উপজেলার শ্রীজিৎপুর গ্রামের আসামি সৌদিপ্রবাসী আল-আমিন মোল্লার মা জায়েদা বেগমকে একই উপজেলার তাঁতীহাটি গ্রামের দুলাল শেখ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে ছেলে আল-আমিন ক্ষিপ্ত হন। ২০১২ সালের ২ জুন রাতে আসামি আল আমিন সৌদি আরবে থেকে ফক্কার শেখসহ অন্য চারজনকে হত্যার জন্য ভাড়া করেন। এরপর তারা চুক্তি অনুযায়ী দুলাল শেখকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা গ্রামের কুমার নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন ৩ জুন কুমার নদী থেকে মুকসুদপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুলতানা বেগম ববিতা বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু তালেব শেখ।