জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগে অস্তিত্বের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে : টুকু
‘জনসমর্থনহীন আওয়ামী লীগে অস্তিত্বের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আজ বুধবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ কথা বলেন। চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জানাতে আসেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। অস্তিত্ব সংকট বিএনপি’র মধ্যে নেই। অস্তিত্বের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আওয়ামী লীগের। কারণ, তাদের জনসমর্থন নেই, তাদের কোনো দল নেই আছে পুলিশ বাহিনী।’
টুকু বলেন, ‘বিগত নির্বাচনের আগে কারও আশ্বাস কিংবা বিশ্বাস করে নয়, ভদ্রতার খাতিরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় জোটবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। অথচ পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি কীভাবে দিনের ভোট রাতে শেষ হয়। কাজেই পুনরাবৃত্তির বিষয় নয়, দেশের নির্বাচন তখনই হবে—যখন জনগণ বিজয় অর্জন করতে পারবে।’
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘শুধু বিএনপি নয়, সরকারবিরোধী অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যারা আছে, তারাও এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না।’
নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার নিয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচন সম্ভব হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সেটা কোনো ক্ষমতাসীন দল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। গতবার দিনের ভোট রাতে করেছে এবং আগামী সময়ে ইভিএমের মাধ্যমে দিনে ডিসি অফিসে বসে ৯০ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে দেখিয়ে ৮০ ভাগ ভোট নিজেদের পক্ষে নিতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, যা দেশের জনগণ বোঝে, আমরাও বুঝি। বিএনপি’র বক্তব্য স্পষ্ট, একেবারে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন এ দেশে সুষ্ঠু হবে না।’
বিএনপি’র আন্দোলন প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আন্দোলন করে আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। সেই হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরে পেতে মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করব। আমরা এটাও বিশ্বাস করি—বিএনপি নির্বাচনে না গেলে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে সেই নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা আমরাও যেমন জানি, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও জানে।’