লোক সংস্কৃতির ব্যতিক্রমী আয়োজন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চকরিয়ার তারেক জীবন বলী, আর রানার্সআপ হয়েছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। এ খেলা ঘিরে তিন দিনের বৈশাখী মেলা হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের প্রধান উৎসব। দেশের বৃহত্তম এ লোকজ উৎসব ঘিরে নগরীর লালদীঘি মাঠ এলাকায় নেমেছে হাজারো মানুষের ঢল।

আবদুল জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি আন্দরকিল্লার বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে সুসংগঠিত করতে ১১৩ বছর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার এ প্রতিযোগিতার প্রচলন করেন। ১৯০৯ সালে সূচনা হওয়া আবদুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা।

গত দুই বছর এ খেলা বন্ধ থাকার পর এবার আবার ফিরে পেয়েছে পুরোনো সেই আমেজ। এ খেলাকে ঘিরে এবার লালদীঘি সড়কের ওপর বাঁশের ঘেরা দিয়ে বালু দিয়ে তৈরি করা হয় বলী প্রতিযোগিতার মাঠ। গ্রামবাংলার লোকজ এ খেলা উপভোগ করতে হাজারও দর্শক জড়ো হয় এ এলাকায়।

আগামী বছর মাঠ সংস্কার হলে আবারও পুরোনো স্থানে এ খেলা ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র।

লালদীঘি সড়কে স্থাপিত অস্থায়ী বালি মঞ্চে বলীদের শক্তি প্রদর্শনে ছোট থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ শতাধিক বলী অংশ নেন। একে একে সবার অংশগ্রহণ দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়। বাঁশ দিয়ে তৈরি বেড়ার ভেতর মঞ্চে চলে এ প্রতিযোগিতা। কৃত্রিমভাবে বালু দিয়ে তৈরি এ মঞ্চে একে একে শক্তি প্রদর্শন করে সেরা বলীর তিলক তুলে নেন কক্সবাজারের তারেকুল ইসলাম জীবন বলী। তবে শিরোপা হারানো গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালালের আক্ষেপ, খেলায় পক্ষপাত করে তাকে হারানো হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন খেলার রেফারি।

খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ ও পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র এম রেজাঊল করিম চৌধুরী। এর আগে বেলুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার সালেহ মো. তানভীর। বলীখেলাকে ঘিরে নগরীর কোতোয়ালির বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে বৈশাখী মেলা।