টিকা আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন, জুনের মধ্যে পাবে সাড়ে চার কোটি মানুষ

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা প্রাপ্তি ও প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী চলছে তোড়জোড়। বেশকিছু দেশ এরই মধ্যে টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। বাংলাদেশে টিকা আনার যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থও ছাড় দিয়েছে। আসছে নতুন বছরের শুরুতেই দেশে আসবে টিকা। এমনটিই আশা করছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ভারতে উৎপাদন করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। এ টিকা আনতে গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে টিকা আমদানি সংক্রান্ত মূল চুক্তি হয়।
টিকা আমদানির বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমরা টিকা আনার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করেছি। তিন কোটি ডোজ টিকা আনা হচ্ছে। আশা করছি নতুন বছরের জানুয়ারির শেষ দিকেই দেশে টিকা আসবে।’
গত ২১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও টিকা আনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী জানুয়ারির শেষে দেশে করোনাভাইরাসের তিন কোটি টিকা আসবে। মে থেকে জুন মাসের মধ্যে আরো ছয় কোটি ডোজ টিকা আসবে। একজন ব্যক্তি দুই ডোজ করে টিকা পাবে। মোট নয় কোটি টিকা সাড়ে চার কোটি মানুষকে দেওয়া হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যেকোনো টিকা দেশে আসতে পারে। আমরা আশা করছি জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে টিকা পেয়ে যাব। এজন্য তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হবে সেগুলো ব্যবহারের পর কীভাবে নষ্ট করা হবে বর্তমানে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলোচনা, চিন্তাভাবনা করছে।’
ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ইপিআইয়ের (টিকা কার্যক্রম) যে ব্যাপক কার্যক্রম আছে, করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেটিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও বেসরকারি খাতকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’