ডা. মুরাদ কোথায় যাবেন সেটা তাঁর ব্যাপার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ডা. মুরাদ হাসান বিদেশে যাবেন না দেশে থাকবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। তিনি কোথায় যাবেন, তা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ডা. মুরাদ। সম্প্রতি তাঁর ভাইরাল হওয়া একটি ফোনকলে বাংলা সিনেমার একজন নায়িকার সঙ্গে অশ্লীল, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেন ডা. মুরাদ। এ ছাড়া মুরাদ হাসান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাঁর মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক কথা বলেন। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করেন। দলীয় পদও হারান।
এই অবস্থায় ডা. মুরাদ হাসান বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন- এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এগুলো আমার জানা নেই। উনি (ডা. মুরাদ) বিদেশে যাবেন নাকি দেশে থাকবেন, এটা উনার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মানবিকতা দেখিয়েছে। মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি (খালেদা জিয়া) কারাগারের বাইরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষে পুনরায় মানবিকতা দেখানোর সুযোগ নেই।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তাঁর ভাই যে আবেদন করেছেন, সেটা আইন মন্ত্রণালয় পাঠানোর পর তা নিয়ে কোনো নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেনি। সেই আবেদন এখনও আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। তবে আদালত থেকে যে আদেশ আসবে, সেটাই করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার ইস্যু নিয়ে মিলাদ মাহফিল করতে পারে। তবে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ওআইসি সম্মেলনে এ নিয়ে আলোচনা করবে সৌদি আরব।’