‘ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/03/21/egg.jpg)
প্রোটিনের আদর্শ উৎস ডিম। দামে কম হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রোটিনের অন্যতম উৎস এই আদর্শ খাবার। ডিমের মতো বহুমুখী খাবার দ্বিতীয়টি আছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে, দাম বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে ডিম এখন আর সাশ্রয়ী মানের প্রোটিনের উৎস নয়। ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ টাকা।
জানুয়ারির বিপরীতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। এতে করে নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী এবং সীমিত আয়ের লোকদের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ক্যাব) সাধারণ মানুষের দাবি, বর্তমানে একটি ডিমের দাম ১৩ টাকার কাছাকাছি। রাস্তার বিক্রেতারা সেদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন প্রতি পিস ২০ টাকায়। ঢাকার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো ইতোমধ্যেই মুরগির মাংসের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে।
ক্যাব সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, ‘খামারে উৎপাদিত ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকৃত মাছ ঐতিহ্যগতভাবে দেশের লাখ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের রেকর্ড মূল্যের মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।’
এস এম নাজের হোসেন কাওরান বাজারের মার্কেটে ডিম, মুরগি, মাংস ও মাছের দামের ওপর কঠোর নজরদারির ওপর জোর দেন, যাতে সব ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে এসব জিনিস পায়।
গতকাল ঢাকায় কিচেন মার্কেট পরিদর্শন করে এ প্রতিবেদক দেখেন, আকার ও মানের ওপর নির্ভর করে প্রতি ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। কয়েকটি সুপার শপে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
অন্যদিকে, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকা এবং ফ্রি-রেঞ্জ (স্থানীয়) মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
বাংলাদেশ ডিম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘ডিমের চাহিদা এখনও বেশি, অথচ উৎপাদন কিছুটা কমেছে।’