ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতিসহ আটজন রিমান্ডে

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুসহ আটজনের দুই দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এই আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—রফিকুল আলম মজনু, আব্দুল খালেক টিপু, সৌরভ রাসেল, দিল গনি, শহিদুল ইসলাম, মোশারফ, আবুল কাশেম ও ওয়াহিদ।
গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহ আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করেন। শুনানির সময় আসামিদের আজ আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে এই রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করার জন্য জড়ো হতে থাকেন। তবে অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই পলাশ সাহা বাদী হয়ে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।