দূতাবাসগুলো আ.লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে : ফখরুল
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ব্রাসেলস দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তির তথ্য তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এটি সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মতো বক্তব্য। যা দূতাবাসকে আওয়ামী লীগের প্রচার মাধ্যমে পরিণত করার প্রমাণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চলমান অপতৎপরতার সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলীয় তৎপরতা। পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা দেওয়াই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দূতাবাসের দায়িত্ব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ওই দূতাবাসগুলোর ব্যয় বহন করা হয় এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই সব দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বহন করা হয়। অথচ কী নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে। মিথ্যাচার ও প্রতারণা করার কাজে লাগানো হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার গ্রেগোরি ডব্লিউ মিকস নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছিলেন। বক্তব্য প্রদানকালে প্রসঙ্গক্রমে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক এবং ঘৃণিত পদ্ধতিতে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস কংগ্রেসম্যানের বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ওই অনুষ্ঠানে মার্কিন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিল না। স্পষ্টতই একটি দলীয় মাধ্যমকে ব্যবহার করে ওই বক্তব্যকে বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশে এবং বিদেশে প্রচার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।