দেশে কিডনি রোগে বছরে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/12/12/kiddni.jpg)
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয় এবং এদের ৭৫ ভাগই মারা যায়। এছাড়া হঠাৎ কিডনি বিকল হয়েও প্রতি বছর মারা যায় আরও ২০ হাজার রোগী। অর্থাৎ দেশে বছরে কিডনি রোগে ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের আয়োজনে সোমবার সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ আরও বলেন, এই রোগীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জেলা পর্যায়ে ডায়ালাইসিস সেবা চালুসহ প্রতিটি মেডিকেল কলেজে কিডনি সংযোজনের ব্যবস্থা করা দরকার। আমরা কিডনি রোগীদের কার্ড চালু করতে চাই; যার মাধ্যমে তারা যেন বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও চিকিৎসা পেতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা দরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাউথ ইস্ট ইউনির্ভাসিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এমেরিটাস ড. এম শমসের আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব হেলথ সায়েন্সের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহাবুব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন প্রাইসওয়াটার হাউস কুপার্স, বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মেরি স্টোপস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মামুন রশিদ। আরও বক্তব্য দেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রুহুল আমিন রুবেল ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. এম শমসের আলী বলেন, অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ আধুনিক জীবনধারা। তাই জীবনধারা পরিবর্তনের দিকে জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে রোগীর তুলনায় ডাক্তার, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মীর সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। তাই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক দক্ষ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা কর্মী তৈরী করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহাবুব বলেন, সব মানুষের চিকিৎসা পাওয়া একটি মৌলিক অধিকার। সবর্জনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার যেন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এবং অধিক ব্যবহৃত ওষুধগুলোর নির্দিষ্ট ও স্বল্পমূল্য নির্ধারণ করে দেয়, যাতে সাধারণ মানুষ সেসব ওষুধ সুলভে কিনে সেবন করতে পারে।
ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, কিডনি সংযোজনের খরচ কমিয়ে রোগীদের সাধ্যের মধ্যে করতে হবে। জনগণকে সুস্থ রাখলে দেশের জিডিপি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং চিকিৎসা সেবা উন্নয়নে মাধ্যমে রোগীদের বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। দেশের অর্থ পাচার হওয়া রোধ করতে হবে।