দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আজ অসহায় : ফখরুল
সাধারণ মানুষের করুণ অবস্থা এই সরকারের গায়ে লাগে না মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।’
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ বলছে, সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, আমরা আর পারছি না। কিন্তু, সরকারের কিছু যায় আসে না। তারা বলছে- ‘সব কিছু ঠিক আছে। উন্নয়ন তো হচ্ছে। হ্যাঁ, দাম বেড়েছে, কিন্তু বিশ্বের তুলনায় কম বেড়েছে। এখানে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম আছে।’ অথচ ‘সারা দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিষ্ঠ।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আদম ব্যবসায়ী উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আছেন একজন, যিনি অতীতে আদমব্যবসা করতেন। পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন সরকারের আমলা।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সব কিছুর দাম বাড়লো কেন? কারণ, আপনারা সব চুরি করছেন। চুরি বললে ভুল হবে, ডাকাতি করছেন। সাধারণ ডাকাতি নয়, বর্গীদের ডাকাতি। বর্তমান সরকার বর্গীর সরকার। আগে বর্গীর কথা শুনলে সন্তানরা ভয় পেত।’
বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছে—ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দাম বাড়ছে। এটা আরেকটা মিথ্যা কথা। কারণ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে থেকেই তো দাম বাড়ছে। চালের দাম, তেলের দাম, পেঁয়াজের দাম তো বাড়তেই আছে। কারণ, আপনারা লুট করছেন, চুরি করছেন, ডাকাতি করছেন। আর এর সঙ্গে জড়িত সবাই আওয়ামী লীগের লোক।’
গত দুই নির্বাচনের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন—বিএনপি যদি ভোটে না যায়, আর কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে কথা বলতে থাকে, তাহলে অতল জলে ডুবে যাবে। অথচ আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই, এতো ভয় কেন নিরপেক্ষ সরকারে? এতো ভয় কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে? নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দিয়ে দেখেন, আওয়ামী লীগ ডোবে, না কি বিএনপি ডোবে?’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, আর না হয় জনগণ আপনাদের ঘাড় ধরে ক্ষমতা থেকে নামাবে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের নেতা টিএস আইয়ুব, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।