নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই : কর্নেল অলি
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/06/oli.jpg)
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, দেশে নিশিরাতের সরকারের বাকশালী কায়দায় একদলীয় শাসন চলছে। এখানে মানুষের মুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশ করার কোনো অধিকার নেই। গণমাধ্যম ও নাগরিকদের মত প্রকাশেরও অধিকার নেই। ঘরে-বাইরে কোথাও নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা নেই। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা পুলিশের ছত্র ছায়ায় অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কোনো লক্ষ্মণও নেই।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পূর্ব পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে কর্নেল অলি এসব কথা বলেন। আগামী ১১ জানুয়ারি গণ-অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কর্নেল অলি বলেন, ‘দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিভীষিকাময় ও অর্থনীতির অবস্থা করুন। ২০২২ সালে সমগ্র দেশে ৪৭৯টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৭০ জন নিহত, ছয় হাজার ৯১৪ জন আহত, ১৯ জন বিচার বর্হিভূত হত্যার শিকার, পাঁচজন অপহরণ, গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন। সীমান্তে ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে।’
এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। এর জন্য প্রধানত দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা দায়ী। রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে। আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে ভারসাম্য নেই। আমদানির কিস্তি ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’
‘মেগা প্রকল্পগুলো দেশের জন্য অভিশাপ, ভবিষ্যৎ অন্ধকার’ উল্লেখ করে অলি বলেন, ‘বাণিজ্য ঘাটতি জুলাই হতে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বিগত পাঁচ মাসে আমদানি তিন হাজার ২৫৩ কোটি এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে দুই হাজার ৭৪ কোটি ডলারের। রিজার্ভ চুরিতে কারা জড়িত তার হদিস নেই। পেট্রোবাংলা দেনা পরিশোধ করতে পারছে না। এ অবস্থার জন্য কে দায়ী?’
কর্নেল অলি আরও বলেন, ‘ছাত্ররা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, নিজের দেশেকে তারা নিরাপদ মনে করছে না। দেশে মেধার মূল্যায়ন না থাকায় তারা দেশে ফিরছেন না। এভাবেই মেধাশূন্য হয়ে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্মমহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম এলডিপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরে আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদসহ প্রমুখ।