ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে
পবিত্র ঈদুল আজহা আগামীকাল বুধবার। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বেড়ে যায় ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজের বেচাকেনা। কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণের জন্য এ সময়ে ফ্রিজের বাড়তি চাহিদা দেখা দেয়। তাই এবারও ফ্রিজের বিক্রি বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট, মিরপুর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, শনিরআখড়া, ধানমণ্ডি এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফ্রিজের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ডিপ ফ্রিজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের সুপার ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা মো. জনি বলেন, ‘সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১২টি ফ্রিজ বিক্রি করেছি। করোনার মধ্যেও ভালোই বেচাকেনা চলছে বলা যায়।’
নাফিজা আক্তার নামের ফ্রিজ কিনতে এসেছেন সুপার ইলেকট্রনিকসে। দরদাম করতে করতে নাফিজা বলেন, ‘কাল গরু কোরবানি করব। মাংস রাখার জন্য ফ্রিজ দরকার হবে। তাই আজ এসেছি। দাম বেশি বেশি বলছে। মার্কেট যাচাই করে ফ্রিজ কিনে ঘরে ফিরব।’
আশুলিয়ার কাঠগড়ায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের ডিলার আরফান চৌধুরী শিমু বলেন, ‘এবারের ঈদে ফ্রিজের অনেক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু জ্যামের কারণে গাড়ি ঠিকমতো না আসায় ডেলিভারি দিতে সমস্যা হয়েছে। আমরা আজ ও আগামীকাল সকাল থেকে দোকান খোলা রাখব। আগামীকালও অনেকে কোরবানির মাংস রাখার জন্য ফ্রিজ কিনবেন।’
দেশে ১০০ লিটার থেকে ৪০০ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজ পাওয়া যায়। তবে বিক্রি বেশি হয় ১৫০ লিটার থেকে ২০০ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজ। এ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রিজগুলোই মধ্যম আয়ের মানুষেরা বেশি পছন্দ করেন।