বান্দরবানে এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, আটক ৩
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ফরিদ আলম নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তার তিন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে গলায় ওড়না পেঁচানো তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ফরিদ আলম উপজেলার ঘোনারপাড়া এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন নিহত ফরিদ আলমের মামাতো ভাই মিজান, মামাতো বোন ফরিজা বেগম এবং তাঁর স্বামী নুরুল আলম (কালু খলিফা)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনালপাড়া এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ফরিদ আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ছাত্রের বাবা আবদুল মোনাফ বলেন, ‘ফরিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেউ একজন ফোন করে ঘর থেকে তাঁর ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিজা বেগমের বাড়িতে আমার ছেলে মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে যাই।’
নিহত ফরিদের ভাই শাহা আলম বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে মামা কাদের মেম্বারের উত্তরাধিকার সূত্রে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আর আমার ভাই ফরিদ প্রায়ই কাদের মেম্বারের মেয়ে ফরিজার বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যেত।’
ফরিদের গলায় ওড়না পেঁচানো থাকলেও লাশ খাটের উপর পড়েছিল। এ কারণে ঘটনাটি হত্যা হিসেবে মনে করছেন শাহা আলম।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে যে অবস্থায় লাশ পড়েছিল। তাতে ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। পুলিশের তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।