বিমানবন্দরে পাইলট নওশাদকে শ্রদ্ধা, চোখের জলে বিদায়
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/02/nawshad-photo.jpg)
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভারত থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। দুপুরে বিমান অফিস বলাকায় এই পাইলটের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাঁকে।
নওশাদকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী ও বিমানের কর্মকর্তারা।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘দায়িত্বপালন করারত অবস্থায় উনার মৃত্যু এক ভিন্ন মাত্রা বহন করে। আমরা সবাই উনার জন্য গর্বিত। উনার মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়।’
বিমানের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি অত্যন্ত ভালো একজন পাইলট ছিলেন। এবং তিনি নিরলস পরিশ্রম করে বিমানে ফ্লাই করতেন। সবচেয়ে বেশি ফ্লাই করতেন তিনি। আমরা তাঁকে হারিয়ে আসলেই খুব দুঃখিত।’
এদিকে, নওশাদকে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে ছুটে যান শোকাহত বন্ধু-বান্ধব ও কোর্সমেটরা। তারা বলেন, ‘নওশাদ ফ্লাইংকে অনেক ভালোবাসতো। কখনও কারও সঙ্গে আমরা তাঁর খারাপ আচরণ দেখিনি। বন্ধু হিসেবে যাকে যখন বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দেখেছে, তাঁকেই সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে গেছে। অত্যন্ত মিষ্টভাষী লোক ছিল। খুবই সাধারণ চিন্তা-ভাবনার একজন মানুষ ছিল। খুবই মজার মানুষ ছিল। খুব হাসাতো মানুষকে। বিমানের এ টু জেড সবাই তাঁকে এতো পছন্দ করে যে, এখানে সব ক্যাপ্টেনরা আছেন, অনেককে দেখবেন, এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। তিনি অসাধারণ একজন মানুষ ছিলেন।’
২৭ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ওমান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাক করেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম জরুরি অবতরণ করান ভারতের মহারাষ্ট্রে। এরপর ক্যাপ্টেন নওশাদকে ভর্তি করা হয় নাগপুরের একটি হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গত সোমবার পৃথিবীকে বিদায় জানান পাইলট নওশাদ।