বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছে আরও আট বাংলাদেশি

পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণার পর আজ রোববার সকাল থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আট বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। তাদের পুলিশি নিরাপত্তায় বেনাপোলের একটি হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য রাখা হয়েছে।
এদিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পারছে না তারা।
এ নিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। অবশ্য প্রশাসন বলছে, তারা সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে সব সীমান্ত পথ বন্ধ করে দেয়। তবে দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগও পায় আটকেপড়া যাত্রীরা। ২৬ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত দুই হাজার ৮১১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। যাদের করোনা নেগেটিভ সনদ আছে তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে বেনাপোল, যশোরসহ বিভিন্ন জেলা শহরের হোটেল ও হাসপাতালে। আর যারা করোনা পজেটিভ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে দেওয়া সরকারি নির্দেশনা মতে, কোয়ারেন্টিনে থাকাদের ১৫তম দিনে নমুনা নেওয়া হবে এবং রিপোর্ট আসার পর তাদের ছাড়া হবে। আজ রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ঈদের ছুটি ঘোষণার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নতুন নির্দেশনা আসে। নির্দেশনা মোতাবেক কোয়ারেন্টিন শেষে সবার করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে কোয়ারেন্টিনের ১৫তম দিনে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হবে। ফলাফল আসার পর নেগেটিভ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, ঈদ উপলক্ষে তিন দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে তা পুনরায় চালু হয়েছে। কাস্টমস ও বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক আছে। পণ্য খালাসে যাতে দেরি না হয়, সেজন্য কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।