ভারতে পাচারকালে বিরল প্রজাতির দুটি অজগর জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভারতে পাচারের উদ্দেশে সংগ্রহ করা বিরল প্রজাতির দুটি অজগর সাপ জব্দ করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এ সময় আন্তর্জাতিক বণ্যপ্রাণী পাচারকারী দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) আলমগীর হোসেন সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মো. মোহন মিয়া (২৭)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার খোরাইদ সাপুড়েপাড়া এলাকার বালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বণ্যপ্রাণী পাচারকারী দলের তিন সদস্য পাচারের উদ্দেশে কয়েকটি অজগর সাপসহ বণ্যপ্রাণী নিয়ে জেলা শহরের সদর থানাধীন জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সড়কে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অবস্থান করছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে জিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ- উত্তর বিভাগ) রেজওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে মোহন মিয়াকে সাপ ভর্তি একটি বাক্সসহ আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই চক্রের অপর দুজন পালিয়ে যান।
পরে পুলিশ আটক করা বাক্স থেকে প্রায় ৬ ফুট দীর্ঘ একটি অজগর সাপ ঘটনাস্থলে জব্দ করে। পরে আটক মোহন মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার মহানগরীর পূবাইল থানাধীন খোরাইদ সাপুড়েপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে প্রায় ১২ ফুট দীর্ঘ অপর একটি পুরুষ অজগর সাপ জব্দ করে।
গ্রেপ্তার মোহন মিয়া আন্তর্জাতিক বণ্যপ্রাণী পাচারকারী দলের সদস্য। এ ঘটনায় বণ্যপ্রাণী আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতে পাচারের উদ্দেশে ‘বার্মিজ পাইথন’ প্রজাতির এ সাপ দুটি চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া দুই ব্যক্তি একটি সাপ কিনতে এসেছিলেন বলে গ্রেপ্তার হওয়া মোহন মিয়া জানিয়েছেন। সাধারণত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও গাজীপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে বিপন্ন এ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া সাপ দুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের জন্য বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় জিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ- উত্তর বিভাগ) রেজওয়ান আহমেদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার রিপন চন্দ্র সরকার ও চৌধুরী মো. তানভীর এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।