মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র প্রদান
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/10/25/netrokona-fridomfighter-news-pic.jpg)
নেত্রকোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হলো স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র। সদর উপজেলার ৪৩৬ জন বীরমুক্তিযোদ্ধার মধ্যে এ স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সনদপত্র প্রদান করা হয়।
নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রদত্ত এ স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনির হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সুব্রত সরকার, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী, প্রেসক্লাব সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খানসহ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার জীবিত ২২৯ বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড পান। প্রয়াত ২০৭ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুগলে গিয়ে ‘ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার’ অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে। এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না।