মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলছে

একশ শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’-এর বিশেষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ‘মুক্তির মহানায়ক’।
আজ মঙ্গলবার রাত ৮টায় আগে থেকে ধারণ করা অনুষ্ঠানটি দেশের সব সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে জনসমাগম এড়িয়ে এভাবে মূল অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়।
এর বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জাতীয় সংসদ ভবন, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাতে আতশবাজীর অনুষ্ঠান হবে।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ভিডিও বার্তায় বিশেষ বাণী দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভিডিও বার্তায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি বছরব্যাপী মুজিববর্ষের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। জনসমাগম এড়িয়ে কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনে এই ভিন্ন আঙ্গিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধন করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল-ওথাইমান।
বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য শেখ মুজিব জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি, পরাভব মানেননি।
জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আজ দেশ-বিদেশে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছে বাঙালি। সে জন্য বছরজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’।
২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করা হবে। দেশের বাইরেও উদযাপিত হবে ‘মুজিববর্ষ’-এর আয়োজন।
ইউনেস্কোর সদর দপ্তর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার ফলে ইউনেস্কোভুক্ত বিশ্বের ১৯৫টি দেশে উদযাপন করা হবে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী। ‘মুজিববর্ষ’-এর বিশ্বস্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। এর ফলে ইউনেস্কো বা এর ১৯৫ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ বা দ্বিপক্ষীয়ভাবে এই দিবসটি উদযাপন করতে পারবে বাংলাদেশ।